অক্ষমতা

প্রতিমা রায় বিশ্বাস

তোমার কাছে যেতে গেলে প্রবাসী হতে হয় না আমার,
পেরোতে হয় না কোনো পাহাড় প্রান্তর, নদী।
ভুল করে চলে যাওয়াও হয় না কোনোদিন
এতটাই চেনা তোমার পথ, পরিচিত নিরক্ষীয় অগ্নি।

তবু যাওয়া হয় না…..কঠিন হয়ে আসে পা, ভারী হয়ে আসে প্রজাপতির পাখনা,
পথ বেয়ে নামে সেই অতীত স্রোতোস্বিনী।
আজও ভেসে যাচ্ছে খরস্রোতে অশ্রু,
কোপাচ্ছে তবু কথা,
অশ্রু হতে ভাগ্যিস গড়ায় না রক্ত।

পাঠশালা চিনি নি আমি….তবু মায়ের মত কিছু ভেসে আসে এ উচ্চারণে।
পাঠ্যবই ঘিরে সংখ্যাত্বত্ত শিখেছি কৈশোরে।
বায়ু বয় মৃদু মৃদু।
হাসলে বাতাসের ছুঁয়ে যাওয়া আসে।
জিরাফ ছানার মত ছুটে যায় বনষ্পতির শাখায়।
বুঝেছি, শিখেছি এসব
উপরন্তু জেনেছি তোমারও নম্বর কিছু ভরা আছে তাতে;
জন্মতিথি এবং দশটি নম্বরে যে সুর বাজে
আমি জানি দশদিক ভ্রমণ শেষে সেখানে শান্ত হয় দশভূজা….
বিসর্জন হয় তার একলা জীবন জলে।
তিরতির করে ঠোঁট ছুঁয়ে এগিয়ে আসে জলজ জল….আর ডাহুক পাখির পায়ে ছলছল।
ওখানে নিবিড় থেকে নিবিড়তর হয়েছে প্রশান্তি।

অন্ধকারের অহং পুড়িয়ে গম্ভীরা…. উঠে আসে ভোরের দরজায়।
আমি ‘চোখ’ খুলে দিলে ভিতরে ঢোকে তোমার মত দেখতে একটি মেঘলা দিন।
আমি সে দিন মেখে কুমারী কাগজ খুলি….
আর দেখা যায় লেখা আছে তাতে “ধীরাজ কান্তি”।
এ অক্ষর গুলো এখনও বিবাহিত নয়,
এ অক্ষর গুলি বর্ণমালা থেকে দূরে সরে যায় নি অন্য পাড়ায়।
শুধু “ধ -র -আর -জ” এর সাথে স্বরবর্ণ মিশে গেলে…..একটি মুন্ডহীন কেতু জন্মায়।
দেহ নেই যার তবু প্রখর দিনে তার স্পষ্ট ছায়া আছে ।

 

Facebook Comments Box
ভাগ