করোনা মহামারী-মৃত্যুকূপ থেকে ঘুরে দাঁড়াবে বাঙালী।
মানুষ মরছে হাজারে হাজারে, লাখে লাখে। মৃত্যুভয়, জীবীকার অনিশ্চয়তা, কখন কিহয় আতংক আজ বিশ্বময়। প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলা,যুদ্ধের নির্মমতা এবং রোগবালাইয়ের মহামারী যেন মানুষের নিত্য সংগী হয়ে আছে। তবুও সমাজ-সভ্যতা এ দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবিলা করেই এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। মানুষের শক্তি অপরিসীম, মানুষ সীমাহীন শক্তির আঁধার। তাই সে ঘুরে দাঁড়ায় আবার। জাগে মানুষ, জাগবে মানুষ আঁধার ভেদিয়া।
বাঙালীরা এই জেগে ওঠার মন্ত্র জেনেছে আগে থেকেই। সত্তরের জলোচ্ছ্বাসে দশ লক্ষ বাঙালীর প্রাণ গেল। একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরসহ ত্রিশ লক্ষ বাঙালীকে হত্যা করলো। তারপরেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
১৯৮৮,৯৮,২০০৮ এর ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি সাধনের পরেও বাঙালী সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১২,১৩,১৪,১৫-তেও সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, জ্বালাও-পোড়াও মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংক রাজনৈতিক প্রভাবান্বিত হয়ে ঠুনকো অজুহাতে পদ্মাসেতু নির্মানণ আর্থিক প্রতিশ্রুতি-চুক্তি করেও আর্থিক সহায়তা অকষ্মাৎ বন্ধ করে দিয়েও পদ্মা সেতু নির্মাণ বন্ধ করতে পারেনি। আজ দৃশ্যমান বাঙালীর স্বপ্নের পদ্মাসেতু শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের গুনে। স্পেনিস ফ্লু প্লেগ, সার্স, ইবোলা, জিকা ভাইরাস, কলেরা-বসন্ত জয় করে মানুষ এগিয়ে চলেছে বীরের মত সামনের দিকে।
সিডোর-আপ্ফান, বন্যা আবার হানা দিয়েছে করোনাকে সাথে করে। মৃত্যু গহ্বর থেকে আবার বাঙালী জেগে ওঠবে আগের মতই শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের গুনে ও দক্ষতায়।
দূর্নীতিবাজদের মূলোৎপাটন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা-জীবন-জীবিকার রুঢ় বাস্তবার প্রক্ষিতে কৌশলী নেতৃত্বের গুনে আবার বাঙালী জেগে ওঠবে আঁধার ভেদিয়া আলোর পথে। জাগবে মানুষ, জাগবে ফের।
জয় বাংলা।।
কড়চা/ ডি কে জি