নিমন্ত্রণ
খালেদা শামীম
জানো কি সুহৃদ?
আমি আকাশ দেখতে যাবো।
হাঁ গো, আকাশ।
না, সমুদ্রে নয়, শুধুই আকাশ।
সমুদ্রের কথা বলছো? সে তো বহুবার দেখেছি, ছুঁয়েছিও, বেশ লেগেছে।
পাহাড়ের কথা বলছো? সে তো বহুবার।
মাটির পাহাড়, পাথুরে পাহাড় আবার কংক্রিটের পাহাড়।
তবে, আকাশ, সেও বহুবছর,দশক,যুগ ধরে দেখছি। কিন্তু আজকাল আকাশ আমার কাছে নুতন রূপে, নুতন রঙে ধরা দিচ্ছে, কিছুটা অদেখা আর অচেনা।
দেখছি তো বটে কিন্তু দেখার আশ কিছুতেই মেটে না।
কি করে মিটবে বলো?
গার্হস্থ্য জীবনের জগদ্দল পাথরের দায় গুলো ক্রমাগত ব্যতিব্যস্ত রাখে আমায়।
ছাড়, সে বিন্দুমাত্র নয়।
ফলে, আমার আর তৃপ্তি নিয়ে আকাশ দেখা হয় না।
তাই লম্বা একটা ছুটি নিয়ে আকাশ দেখতে যাবো।
মাঝে মাঝে মনে হয় এই বুঝি মেঘগুলো আমার বেলকনি ছুঁয়ে যাচ্ছে।
আবার কখনো মনে হয়, মেঘের পাহাড় আরেকটু হলেই সামনের বাড়ির পাঁচিল ছুঁয়ে যাবে।
আকাশ আর মাটিকে মাঝে মাঝেই সমান্তরাল মনে হয়।
জানি এ আমার ভুল।
কিন্তু, কিছু কিছু ভুল গুলো যদি সত্যি হতো, তবে কিন্তু বেশ হতো।
তবে,যাই বলি না কেন, বেশিরভাগ সময় আকাশকে আমার বিষন্ন মনে হয়।
হয়তো আকাশের মন ভালো নেই।
হয়তো একটু খানি ছুঁয়ে দিলে
আকাশের বিষন্নতা কেটে যাবে।
কনে দেখা আলোয় নুতন করে অভিষেক হবে।
তাই তো আমি আকাশ দেখতে যাবো।
খরচ কিছুই নয়, প্রয়োজন শুধু এক খন্ড বিশাল আকৃতির অবসর।
তাই তো আমি একটু একটু করে
অবসর সঞ্চয় করছি।
জমিয়ে রাখছি আমার সাধ্য মতো।
জানি না, কবে, কখন আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ?
আমি আকাশ দেখতে যাবো।
আকাশ আমায় করেছে অলিখিত নিমন্ত্রণ।
কড়চা/কে এস