কড়চা রিপোর্টঃ মাদরাসা প্রকল্প পুন: অনুমোদন ও বন্ধ থাকা বেতন ভাতা প্রদানের দাবী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছেন দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতি মানিকগঞ্জ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
সোমবার বেলা ১২ টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে সভাপতি মো: জাফরুল্লাহ, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল, যুগ্ম সম্পাদক মো: মোজাম্মিল হোসেন হাবিবুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ আফজাল হোসাইন ও কার্যকরী সদস্য আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মো. মোজাম্মিল হোসেন হাবিবুল্লাহ জানান, ২০১৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক উপজেলায় দুটি করে মোট ১ হাজার ১০ টি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালে প্রত্যেক মাদ্রাসায় একজন করে কওমী ও একজন করে আলিয়া মাদ্রাসার সর্বচ্চ সনদপ্রাপ্তদের নিয়োগ দেওয়া হয়। মাদ্রাসায় শুরুতে ৩য় শ্রেণি ও পরবর্তীতে ৫ম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। এসময় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগ পর্যন্ত আমাদের প্রতিটি মাদ্রাসায় শিক্ষা কার্যক্রম চলমান ছিল। গত মে মাসে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমটি পাস হলেও প্রকল্প থেকে দারুল আরকমান ইবতেদায়ী মাদরাসাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
জেলার সাতটি উপজেলার ৭ টি মাদ্রাসায় মোট ২৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। গত ৬ মাস ধরে তারা কোন বেতন ভাতা পাননি। উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
শিক্ষকদের দাবীগুলো হলো, দ্রুত প্রকল্প পাস করে কোরবানী ঈদের আগেই বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান, শিক্ষকদের স্থায়ী জনবল হিসেবে স্কেলভিত্তিক বেতন ভাতা প্রদান করা, পিটিআই ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা, পর্যাপ্ত পরিমান শিক্ষক নিয়োগ, মাদ্রাসা সমূহে আসবাবপত্র সহ ভবন নির্মাণে বরাদ্দ প্রদান এবং মাদ্রাসাগুলোকে রাজস্বখাত ভূক্ত করার নির্দেশনা প্রদান করা।