কড়চা রিপোর্ট : মানিকগঞ্জের বেউথা এলাকার রিক্সা চালক ঈদ্রিস আলী (৫০) হত্যা মামলার আসামি ড্রেজার ব্যবসায়ী মোঃ ফরহাদ হোসেন (৪৫) বিজ্ঞ আদালতে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। ফরহাদ স্থানীয় চর বেউথা এলাকার মৃত আঃ মোতালেব হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে মানিকগঞ্জ ৪ নং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পারভেজ আহমেদ এর আদালতে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। পরকিয়া সম্পর্কের জের ধরে রিক্সা চালককে হত্যা করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) মোঃ টুটুল উদ্দিন জানান, রিক্সা চালক ঈদ্রিস আলীর স্ত্রীর সাথে পরকিয়া সম্পর্ক ছিলো ড্রেজার ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেনের। একাধিকবার ফরহাদের সাথে নিহত রিক্সা চালকের স্ত্রীর অবৈধ মেলামেশার ঘটনা হাতে নাতে ধরেন ঈদ্রিস আলী নিজেই। এর পর থেকে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। গত ৪ জানুয়ারি রাতে পরিকল্পিত ভাবে ঈদ্রিস আলীকে পাশ্ববর্তী আন্ধারমানিক গ্রামের নির্জন স্থানে নিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ফরহাদ নিজের চারজন প্রতিপক্ষের মোবাইল নম্বর ঈদ্রিস আলীর পকেটে রেখে যায়।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কিলার ফরহাদ ও তার এক সহযোগী মিলে গলায় মাফলার পেচিঁয়ে এই হত্যার ঘটনা ঘটায়। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। সূত্রমতে, কিলার ফরহাদ খুন করার সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ করে নেয়। ফরহাদের সাথে স্থানীয় চার ইয়াবা কারবারির সাথে বিরোধের জের ধরে তাদের ফাঁসাতে চারজনের মোবাইল নম্বর নিহত রিক্সা চালকের পকেটে ঢুকিয়ে দেয়।
পরে পুলিশ ওই এলাকার রাস্তার পাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ছয় দিনের মাথায় কিলার ফরহাদকে ধরতে সক্ষম হয়।
প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এই মামলার আসামি সনাক্ত ও মামলার রহস্য উন্মোচনে সরাসরি নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা পিপিএম।
রিক্সা চালক ঈদ্রিস আলী হত্যার ঘটনায় ছেলে নয়ন হোসেন বাদি হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
কড়চা/ এস কে