কড়চা রিপোর্ট : নিকগঞ্জের স্কুল ছাত্রী মিমি ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আসামি সাদ্দাম মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন বিচারক। বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে আসামির উপস্থিতিতে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এই রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দাম মিয়া মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বেগুন নারসি গ্রামের আহমেদ মিয়ার ছেলে। একই সাথে অপর দুই আসামী শম্ভু সরকার ও তপু পালকে বেকসুর খালাশ দেওয়া হয়।
মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি একেএম নূরুল হুদা রুবেল জানান, আসামি সাদ্দাম মিয়া সাটুরিয়ার গোলড়া এলাকায় একটি পোল্ট্রি ফার্মের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। সেই সুবাদে ধানকোড়া গিরিশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী তুহিন সুলতানা মিমির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। সম্পর্কের কারণে ২০১২ সালের ৮নভেম্বর রাতে সাদ্দাম মিয়া সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া গ্রামে মিমির বাড়িতে গিয়ে তাকে (মিমি) ধর্ষনণর পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মিমির ঘরে থাকা স্বর্নালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরের দিন মিমির বাবা ছানোয়ার হোসেন বাদি হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামি সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে। ২০১৩ সালের ২ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি সাদ্দাম মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ধর্ষনণর পর হত্যার কথা স্বীকার করে। সেই সাথে সাদ্দাম মিয়া লুট করা স্বর্নালংকার অপর দুই আসামি শম্ভু সরকার ও তপু পালের কাছে বিক্রি করেন।
মামলায় মোট ১৮ জন স্বক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন আসামি সাদ্দাম মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
কড়চা/ বি সি