কড়চা রিপোর্ট : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম শানবান্দা গ্রামে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে সিফাত হোসেন শাকিল (১৪) নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ মে) রাতে বাড়ি থেকে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধর্ষণ ও হত্যার শিকার সিনহা আক্তার (৭) স্থনীয় শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অভিযুক্ত কিশোর শিশুটির প্রতিবেশি।
মামলার এজাহার এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২১ মে) দুপুরের পর বাড়ি থেকে খেলাধূলা করতে শিশু সিনহা বাড়ির বাইরে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরের দিন শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি কাঠবাগানের ভেতর গলায় গামছা পেচানো সিনহার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শিশুটির নানা আবদুল বারেক বাদি হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজনকে আসামিকে করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন এবং অপরাধ) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই কিশোরকে বাড়ি থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে শিশুটিকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যার কথা জানায়। হত্যার পর শিশুটির কানের স্বর্ণের দুটি দুল এবং গলায় থাকা রূপার চেইন কিশোর বাড়িতে নিয়ে রেখে দেয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর কিশোর বাড়ির আলমারি থেকে এসব দুল ও চেইন বের করে দেয়।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, আজ দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের নির্দেশে কিশোর শাকিলকে টঙ্গীর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
কড়চা/ এস কে