মাসুম বাদশাহ : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ এক বিধবা নারীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় স্থানীয়ভাবে সালিশ-বৈঠকে অভিযুক্তকে বিয়ের দায় থেকে মুক্তি দিয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্ত রিপন(৪৫) প্রতিবেশী মৃত জয়নালের পুত্র।
সরেজমিনে ভিকটিম জানান, রিপন সম্পর্কে আমার নাতি। প্রায় দু’বছর আগে তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে মাঝে-মধ্যে সে আমার সাথে দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হতো। গত ২৮ নভেম্বর গভীর রাতে রিপন আমাকে মোবাইল ফোনে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হলে আশপাশের লোকজন ঘটনাটি জানতে পারে। পরদিন বিকেলে ওই গ্রামের আয়নালের বাড়িতে ৬ ঘন্টা ব্যাপী সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে রিপনকে দু’লাখ টাকা জরিমানা করে বিয়ের দায় থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
ওই বৈঠকে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, আয়নাল হকের সভাপতিত্বে ও মাসুদ ইমরান খাঁনের পরিচালনায় আব্দুর রহমান, আব্দুর রশিদ, আব্দুল গফুর, আফজাল হোসেন, নয়ন ও শরীফ মেম্বারসহ অর্ধ-শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে এ বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। জরিমানার ২ লাখ টাকার মধ্যে নগদ ১০ হাজার টাকা আদায় করে আব্দুর রহমানের নিকট জমা রাখা হয়। বাকী ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা আগামী ১৩ ডিসেম্বর আদায় করে ভিকটিমকে দেয়ার কথা রয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
অভিযুক্ত রিপনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি
সালিশ পরিচালনাকারী মাসুদ ইমরান খাঁন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জরিমানার পুরো টাকাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভিকটিমকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান বলেন, ধর্ষণের কোনো ঘটনা স্থানীয়ভাবে সালিশ বিচারে জরিমানা করে আপস মিমাংসার সুযোগ নেই।
কড়চা/ এম বি