সিংগাইরে মাধ্যমিক স্কুলগুলো পায়নি বিজয় ফুল উৎসবের বরাদ্দ

মাসুম বাদশাহঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনা শুরু হওয়ার পূর্বেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের অধীনে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিজয় ফুল উৎসব পালনে সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ২৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে ৫৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়।

সূত্র মতে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বাজেট শাখা থেকে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও)নিকট বিজয় ফুল উৎসবের বরাদ্দ পাঠানো হয়। ২০২০ সালের শুরুতেই সিংগাইর উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বিজয় ফুল উৎসব পালন করেন।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানরা উপজেলা থেকে জাতীয় ফুলের লগো ক্রয় করে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান এ উৎসব পালন করেন। উৎসবের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গেঁ কথা বলে জানা যায়, বিল-ভাউচার সই-স্বাক্ষর করে জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও মেলেনি ওই উৎসবের বরাদ্দের টাকা। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সিংগাইর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নূরু উদ্দিন বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা বিজয় ফুল উৎসব সম্পন্ন করেছি । তবে কোনো বরাদ্দ পাইনি।

সাহরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম নজরুল ইসলাম বলেন, আমি শিক্ষা অফিস থেকে সরকারি বরাদ্দের কথা শুনে বিল-ভাউচার জমা দিলেও বাস্তবে এখন পর্যন্ত কোনো টাকা পাইনি। নূর মহসিন বিদ্যায়তনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিজয় ফুল উৎসব পালনের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আমাদের দেয়া হয়নি। এ ছাড়া জাতীয় ফুলের লগো আমরা নিজের টাকায় কিনে এনেছি। অনুরূপ অভিযোগ করে শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এনামুল হক বলেন, আমাদের কাছ থেকে সবসময় আগে বিল-ভাউচারে সই স্বাক্ষর নেয়া হয়ে থাকে, টাকা দেয়া হয় পরে। জাতীয় ফুলের লগো আমরা নগদ টাকায় কিনে এনেছি। তবে বিজয় ফুল উৎসব অনুষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহের টাকা এখনো শিক্ষা অফিস থেকে দেয়া হয়নি। জয়মন্টপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাধেশ্যাম সাহা, চারিগ্রাম এস এ খাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিদুর রহমান ও ধল্লা ইউনিয়ন কাউন্সিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদসহ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বিল না পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ বলেন, আমাদের কাছে কোনো সরকারি বরাদ্দ আসেনি। ইউএনও স্যারের কাছে এসেছে শুনে বিল-ভাউচার জমা দিয়েছি। প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো বরাদ্দের টাকা পায়নি।

উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সেখ সরিফুল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে গত বছর জুন মাসেই বিল ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা বলেন, টাকা উত্তোলন করে রাখা হয়েছে। যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজয় ফুল উৎসব পালন করেছে শুধু ওই প্রতিষ্ঠানই টাকা পাবে। বাকি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয়া হবে ।

কড়চা/ এম বি

Facebook Comments Box
ভাগ