মাসুম বাদশাহ : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের মোসলেমাবাদ গ্রামে ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মো. মোজাম্মেল হক খানের পরিবারে ৮ সদস্য রাতের খাবারের পর সকলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা সবাইকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে জানা গেছে ।
অসুস্থরা হচ্ছেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাবা কাজী মকবুল হোসেন (৮৫), তার স্ত্রী শাসুন্নাহার(৭০), দু‘মেয়ে সেলিনা খাতুন (৫৫), দেলোয়ারা খানম (৪৫), ছোট ছেলে আমিনুর ইসলাম (৫২), দু‘ নাতনি রওজাতুল (১৩), তামিন (০৯) ও নাতিনের মেয়ে অনন্যা তানহা (১৩)।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাড়ির সবাই রাতের খাবারের পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে গৃহকর্তার বড় ছেলে তাজুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন পাশেই শ্বশুরের বাড়ি থেকে নাতনি অনন্যাকে আনতে গেলে ঘরের ভেতরে সবাইকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকা দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় রেফার্ড করেন। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গৃহকর্তা কাজী মকবুল হোসেন শমরিতা হাসপাতাল ও মেঝ মেয়ে সেলিনা খাতুন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেকেন্দার আলী মোল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো ছিলো ।
সিংগাইর থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। তবে এখানো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
কড়চা/ এম বি