কড়চা রিপোর্টঃ এবি ব্যাংকের সিংগাইর শাখা থেকে অবৈধভাবে ব্যাংকের আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এবং ভুয়া এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তলোনের জন্য ফয়সাল আলম সিহাব নামের বরখাস্তকৃত এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় সহযোগিতার জন্য মুত্তাকিন আহমেদ নামের তার এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জের সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী জানান, চলিত মাসের ০৭ জুলাই এবি ব্যাংকের মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পারিল শাখার কর্মকর্তা ফয়সাল আলম সিহাব অপেশাদারী কাজের জন্য বরখাস্ত হন। ওই দিনই তিনি অবৈধভাবে ব্যাংকের আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা একটি ভুয়া এ্যাকাউন্টে জমা করেন। পরে আরটিএস এর মাধ্যমে ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় নতুন ২ টি গাড়ি ক্রয় করেন। এঘটনার ১০ জুলাই এবি ব্যাংকের পারিল শাখার ম্যানেজার বাদি হয়ে সিংগাইর থানায় মামলা করলে ১১ জুলাই মামলার দায়িত্ব নেয় সিআইডি।
সিআইডি কমর্কতারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহাররে মাধ্যমে ক্রয়কৃত নতুন গাড়ি দুইটি ঢাকার ঝিগাতলা থেকে ১৮ জুলাই উদ্ধার করেন। আর এই কাজে সহায়তার জন্য একই দিনে গ্রেপ্তার করা হয় মুত্তাকিন আহমদে সিয়াম নামের ফয়সালের এক বন্ধুকে। এরই ধারাবাহকিতায় ২৬ জুলাই রাতে সিংগাইরের নিজ বাড়ি থেেক গ্রেপ্তার করা হয় প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রধান আসামি ফয়সালকে। এসময় তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। বাকি টাকাগুলো উদ্ধার এবং প্রতারণার সাথে জড়তি সকল ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে প্রেসব্রিফিং-এ জানানো হয়।
২৭ জুলাই (সোমবার) ফয়সালকে আদালতরে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা বিজ্ঞ জুডশিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের নিকট স্বীকারোক্তিমূক জবানবন্দী দিয়েছে।