তেজবাহাদুর
প্রতিমা রায়বিশ্বাস
আমার কবিতাগুলি তোমাকে ভাবনার কারণে গজায় সবুজ পাতা, কুড়ি আসে।
তোমার অনুপস্থিতিতে কত বিরহ নিয়ে ঝরে পড়ে এখানে বৃষ্টির ভিতরে বৃষ্টি।
অকাল কালবৈশাখী ঝড় ওঠে গ্রন্থ ঘিরে, ঠোঁটেরা বিচ্ছিন্ন পাপড়ি হয়।
অথচ তোমার উর্দিতে খিদের খবর ব্রেকিং নিউজের মতো জ্বলজ্বল করে, জানতে দাও না আমায়।
নিয়মের রাইফেলের উপর প্রখর রোদ পড়ে, কখনও মাইনাস হয়ে ওঠে জল,
আস্ত একটি জঙ্গল হয়ে থাকো তুমি।
অথচ আমাকে বুঝতে দাও নি জেগে জেগে চোখ গাছের ফাঁকে র্যডারে ধরা পড়ে শত্রুর মুখের পাশে আমারও মুখ।
উর্দির ভিতরে স্বপ্ন ঘুরে ঘুরে নায়ক হয় তোমারও পেশি।
কত আশা ধূপছায়া রোদের ডোরাকাটা।
লাইট ডিপ সবুজ নিয়ে সহ্যরা চিকচিক করে
যখন তুমি আমার দিকে চেয়ে বলো ভালোবাসি এ জীবন তোমারও।
তখন কিছুটা দেশ হয়ে উঠি আমি।
তখনই ঠিক সতীনের মতো বাদবাকি দেশ আমার দিকে ট্যারা চোখে জ্বলে।
তোমাকে পুরোটা শুষে নেবে বলে জীবন্ত তেজবাহাদুর হয়ে ওঠে তোমার খাবারের প্লেট।
চোখদুটো ওর মৃত্যুর রহস্য চাপা দিয়ে বলে ওঠে “জয়হিন্দ।”
তখনও খাবার ছিল না, কৈশোর যখন ইটের ভাটায় অথচ পকেট ভ’রে ছিল দেশ।
আজ অর্থ ভ’রে আছে দেশের কোণায় কোণায়।
অথচ পেট ভরে আছে কাঁচারুটি আর খিচুড়ি, ডালের ক্ষেত ।
প্রিয়তমা কী খাচ্ছো শুধু ভিডিও কলে দেখিও না আমায়।
কারণ ভিতরে ভিতরে আমিও একদিন তেজবাহাদুর হয়ে উঠতে পারি।
তখন সবই তো শেষ।
তারচেয়ে ভালো আছি এই উর্দির মেনে নেওয়া ঘুম নিয়ে,
ভালো আছি যেহেতু ভালো থাকবে আমার দেশ।
কড়চা/ পি আর বি