মাসুম বাদশাহ : মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌর এলাকার কাংশা মহল্লার একটি মাদরাসার অফিস কক্ষে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভিকটিম বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
থানা পুলিশ রবিবার (৬ ডিসেম্বর) ধর্ষক রিপন (২৫) ও তার ভাই সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সারোটিয়া গাজী গ্রামের মোঃ ছমেদ মিয়ার পুত্র।
মামলার এজাহার সূত্রে প্রকাশ, ওই মাদরাসার প্রাক্তণ ছাত্র রিপন গত ৪ মাস আগে মোবাইল ফোনে এক সন্তানের জননী ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হতো তারা । এরই ধারাবাহিকতায় মাদরাসাটি বন্ধ ও পরিচালকের (মোহতামিম) অনুপস্থিতির সুযোগে গত ২৯ নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে ভিকটিমকে অফিস কক্ষে নিয়ে রিপন রাত্রি যাপনসহ একাধিকবার ধর্ষণ করে। ঘটনাটি টের পেয়ে পরদিন স্থানীয় লোকজন ওই কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় অভিযুক্ত রিপনের পক্ষ নিয়ে তার ভাই সুজন মিয়া ও পার্শ্ববর্তী আজিমপুর এলাকার আবু বক্কর এবং জসিম উদ্দিন মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে তাকে সরিয়ে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া রিপন ওই মাদরাসার প্রাক্তণ ছাত্র হওয়ায় পরিচালকের অনুপস্থিতিতে সে ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন। এদিকে. এ ঘটনার জের ধরে ভিকটিমের স্বামী তাকে মৌখিক তালাক দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহফুজ রানা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দু‘জনের মধ্যে মামলার ১ নং আসামি রিপনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
কড়চা/ এম বি
