কড়চা রিপোর্টঃ ঘুষের টাকা চাওয়ার প্রতিবাদ করায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কাউসার মামুন। এঘটনায় আহত মামুন ও হাসান নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে জিয়নপুর ইউনিয়নের আমতলী ফেদু সেক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণ পশ্চিম কোনে ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ও তার সহযোগীদের হামলায় জিয়নপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মামুন ও হাসান আহত হন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে জিয়নপুর বেলায়েত হোসেন কলেজ প্রতিষ্ঠিত করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন মো: মনিরুল ইসলাম ফাহাতের নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে কলেজে পিয়ন পদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন। বর্তমানে তিনি আরো ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে বলেন, পুরো টাকাটা দিলে স্থায়ী নিয়োগ হবে। এবিষয়ে কাউসার মামুন প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং বিরোধ সৃষ্টি হলে আমতলী ফেদু সেক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণ পশ্চিম কোনে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা ধারালো দা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে কাউসার মামুনের মাথার সম্মুখভাগের ডান ও বাম পাশে কোপ মেরে গুরুতর জখম করে এবং মাটিতে পড়ে গেলে কিল ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলাফুলা জখম করে। মামুনের প্যান্টে থাকা দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এব্যাপারে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।