করোনাকালীন অনলাইন শিক্ষা এবং আগামীর শিক্ষা কার্যক্রম

ছবিঃ শ্যামল কুমার সরকার

শ্যামল কুমার সরকার

কে জানতো আজ এভাবে ভাবতে হবে, এ বিষয়ে লিখতে বসবো। এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের মডেল ক্লাস ও টেস্টগুলো শেষ করেছিলাম যথাসময়ে। ওরা ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আর এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত ছিল ইয়ার ফাইনালে অংশ গ্রহণ নিয়ে। ওদের রুটিন পর্যন্ত টাঙ্গানো হয়েছিল। ডিগ্রি (পাস) এবং অনার্সের চারটি বর্ষের শিক্ষার্থীরাও ওদের নিজ নিজ কার্যক্রম নিয়ে চলছিল। সারা বিশ্বের শিক্ষা কার্যক্রম চলছিল নিজ নিজ দেশের নিয়মানুযায়ী। হঠাৎ ছন্দপতনের ডাক। সুদূর চীনে নাকি কি হয়েছে। জানা গেল চীনের উহান প্রদেশে নতুন একটি ভাইরাস আক্রমন শুরু করেছে। নাম তার কোভিড-১৯। ২০১৯ সালের নভেম্বরে চীনের উহানে জন্ম নেওয়া কোভিড-১৯ এখন সারা বিশ্বে বীর বিক্রমে ধ্বংসশীলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই কেড়ে নিয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মহামূল্যবান জীবন। আর বিশ্বে আক্রান্ত এক কোটির বেশি। বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এ প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৯৬ জন এবং আক্রান্ত ১,৬৫,৬১৮ জন (০৭/০৭/২০২০, সংবাদ)।

জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী মহা ধুমধামের সাথে উদ্যাপিত হবে এমন প্রস্তুতকালে ৮ মার্চ ২০২০ বাংলাদেশে কোভিড-১৯ কেস চিহিৃত হয়। ১৮ মার্চ ২০২০ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ থামতে শুরু করে। শারীরিক দূরুত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৭ মার্চ ২০২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একেবারেই অনারম্বড় ভাবে পালন করা হয়। মূলত ১৭ মার্চ ২০২০ হতেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম (প্রাইমারি হতে বিশ^বিদ্যালয়) বন্ধ হয়ে যায়। সেভাবেই চলছে আজ অবধি (০৭/০৭/২০২০) এবং বন্ধ থাকবে ৬ আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত (বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী)। উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ ২০২০ হতে ৩০ মে ২০২০ পর্যন্ত বিভিন্ন দফায় বন্ধ ঘোষণার মাধ্যমে সরকারি অফিসও কার্যক্রম বন্ধ রাখে। উক্ত সময়ে সীমিত আকারে ব্যাংকের লেনদেন চলে। ফলে গ্রাহকদের ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকে টাকা তুলতে হয়। ৩১ মে ২০২০ হতে সরকারি অফিস ও ব্যাংকিং কার্যক্রম অনেকটাই স্বাভাবিক ভাবে চলছে। যদিও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার অনুযায়ী সরকারি দপ্তরগুলোতে ২৫ ভাগের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী একসাথে অফিসে উপস্থিত থাকবেন না। অত্যাবশ্যক বেশির ভাগ মিটিংও ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে করতে বলা হয়েছে। ১ জুন ২০২০ হতে সীমিত পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। এতে অনেকেই খুশি হয়েছেন। কারণ বন্ধের কারণে বাজেটের টাকা খরচ করা যাচ্ছিল না। উন্নয়ন বন্ধ ছিল।

ঠিক এমনই বাস্তবতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা জারি করে (মে ২০২০)। নির্দেশনার কিছুদিন পর থেকে বিটিভি-তে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ক্লাস শুরু হয়েছে। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বিটিভি’র বাইরে। টেলিভিশনের শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলে তাদের হতাশার কথা জানা গেছে। কেউ কেউ বিটিভি’র শিক্ষা কার্যক্রম দু’চারদিন দেখার পরে বর্জন করেছে। কারণ প্রক্রিয়াটি এক পাক্ষিক এবং শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন শিক্ষা নিয়ে ব্যবসার অভিযোগ তুলে রাজধানীতে মানব বন্ধন পর্যন্ত হয়েছে। তবুও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কম-বেশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম এমনকি পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত চলছে। এ ব্যাপারে অংশ গ্রহণকারীদের সাথে কথা বলে মাঝারী ধরনের তৃপ্তির কথা জানা গেছে। যেন নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্য দু’একটি বাদে কোনো সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ই অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে না (কারো কারো প্রস্তুতি চলছে)। পুরোনো সরকারি কলেজ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোও সরকার ঘোষিত অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে তেমন নেই। রইলো বাকি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শতভাগ প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যারা সরকার থেকে কোন আর্থিক সহযোগিতা নেয় না। শতভাগ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানও হয়তোবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চলছে।

কেমন চলছে এমপিওভূক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। ফেসবুকে ও ইউটিউব প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মোবাইলে এসব দৃশ্য হঠাৎ দেখে অনেকেই চমকে উঠছেন। কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করছেন। অভিভাবকদের সাথে কথা বলেও তাঁদের অসন্তুটির কথা জানা গেছে। কারণ, ধারণাটি দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছেই নতুন।

প্রসঙ্গত, জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে শিক্ষাদানের জন্য যা প্রয়োজন। এজন্য স্মার্টফোন/ ল্যাপটপ বাধ্যতামূলক। সাথে ইন্টারনেট সংযোগ। আরো লাগবে সার্বক্ষণিক উন্নত নেটওয়ার্ক। অর্থাৎ একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়/কলেজের ১ হাজার জন (যতজন) শিক্ষার্থীর প্রত্যেকেরই একটি করে স্মার্টফোন/ল্যাপটপ থাকতে হবে। এজন্য প্রয়োজন কমপক্ষে ১৫,০০০/- করে টাকা (এতে ভালো সেবাদানের সেট পাওয়া যাবে না)। আবার কেনার সামর্থ অনেকের থাকলেও চালানোর সক্ষমতা (কারিগরী জ্ঞান ও অর্থ ব্যায়) সবার থাকবে না। কারণ, চলতি বাজেটে সরকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব থাকার পরেও যদি সঠিক সময়ে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে তবে সব আয়োজন ভেস্তে যাবে। আবার শতভাগ শিক্ষার্থীকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় না আনতে পারলে ওদের মধ্যে জ্ঞানের বৈষম্য তৈরী হবে যা মোটেই কাম্য নয়।

এতো গেলো শিক্ষার্থীদের কথা। দেশের কলেজ ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শতভাগ শিক্ষকের মানসম্পন্ন স্মার্টফোন/ ল্যাপটপ আছে তো? একটি অংশের থাকলেও এসব চালানোর দক্ষতা আছে কি? বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিয়ে আচমকা নোটিশ জারি করলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। এতে কাজীর গরু গোয়ালে না থেকে খাতাতেই থাকবে। সম্প্রতি (জুনের শেষ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর হতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের রুটিন ও বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। মানে এর বাস্তবায়ন নিয়ে খোদ মন্ত্রণালয় ও মাউশি’র সংশয় রয়েছে।

তাহলে কি সরকার ঘোষিত অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের কোনো মানে নেই। এসব কি বন্ধ করে দিতে হবে? না, বিষয়টি সেরকম নয়। বিষয়টি অন্য। বিশ্ব আজ স্থবির। গবেষণায় দেখা গেছে বর্তমানে শতকরা ৯১ ভাগ শিশু-কিশোর মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। প্রাপ্তবয়স্করাও মোটেও ভালো নেই। হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, দৈনিক মৃত্যুর সংবাদ, রেড জোন, ইয়োলো জোন, গ্রীন জোন, লক ডাউন, অ্যাম্বুলেন্স আর পুলিশের গাড়ির হর্ণ শুনতে শুনতে প্রায় সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। সবার আগে এখন প্রয়োজন মনের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনা। শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণ প্রক্রিয়াটি একটি মানবিক লেন-দেনের ব্যাপার। রাস্তা নির্মাণ ও ভবন নির্মাণের সাথে শিক্ষা কার্যক্রমকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। এক্ষেত্রে দাতা-গ্রহীতাকে অবশ্যই মানসিক ও মানবিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ থাকতে হবে। অন্যথায় লেনদেন হলেও তা কার্যকর হবে না।

কাজেই এ ব্যাপারে সরকারকেই কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। আর আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে অথবা সাধারণ নির্দেশনার মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বল্পমূল্যে স্মার্টফোন/ ল্যাপটপ বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে। এমনকি আর্থিক ভাবে অতি দুর্বলদের বিনামূল্যে স্মার্টফোট/ ল্যাপটপ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। ১ লাখ কোটি টাকার করোনা বাজেট হতে এ ব্যায় করা সম্ভব। পাশাপাশি অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা ও অংশ গ্রহণের উপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিটিভি ও অন্যান্য চ্যানেলগুলো এ ব্যাপারে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে পারে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ও এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি চলমান অনলাইন শিক্ষাকে লাইভ করে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। আর পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে দীর্ঘ মেয়াদি অনলাইন শিক্ষা চালু থাকলে বিষয়ভিত্তিক মড্যুল প্রস্তুত করতে হবে। শুধু ভালো বলেই কোনো কিছু চালিয়ে দেওয়া যায় না। এর প্রয়োগবিধি জানতে হয়। প্রয়োগ করতে হয় স্থান-কাল-পাত্র ভেদে। একই ঔষধ সব ক্ষেত্রে কাঙ্খিত ফল বয়ে না-ও আনতে পারে। ভুলে গেলে চলবে না যে, ইউরোপ-আমেরিকার ভালো ধারণাগুলো আমরা রাতারাতি কাজে লাগাতে পারবো না। অতটা উন্নত আমরা এখনো হইনি।

এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রসঙ্গে আসি। প্রথমেই বলে নেই-শিক্ষকরা বাড়িতে বসে থেকে মোটেও ভালো নেই। সবাই বাড়িতে শুয়ে-বসে কাটাচ্ছেন তা-ও নয়। অনেকেই মোবাইলে, ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি ও পড়ালেখা সংক্রান্ত নির্দেশনা দিচ্ছেন। নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন। সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন। লেখালেখি করছেন, গবেষণা করছেন। কিন্তু এভাবে কতদিন? আমাদের সুবিবেচক প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন প্রয়োজনে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। আমাদের শিক্ষামন্ত্রীও বলেছেন, ‘‘একবছর পড়ালেখা না করলে সন্তান অমানুষ হবে না, কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে গেলে অনেক মায়ের কোল খালি হবে’’। উনাদের উদ্যোগ একেবারেই সঠিক। আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। মাঝে-মধ্যে থামার শিক্ষাও নিতে হয়। স্থির হতে হয়। সে সময় আমরা না পেলেও প্রকৃতি সে সুযোগ আমাদের করে দিয়েছে। আগে জীবন পরে সমৃদ্ধি। আমি নিজেও রেডজোনে বসবাসরত একজন অভিভাবক। সন্তান কলেজে ভর্তির অপেক্ষায়। ওকে স্বশিক্ষা, প্রকৃতি শিক্ষা ও শারীরিক শিক্ষায় ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছি। ২০২০ এর এইচ এস সি পরীক্ষা ও চলতি বছরের একাদশে ভর্তির কার্যক্রম আটকে আছে। এতে হতাশার তেমন কিছু নেই। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকালে কেউ কি পড়ালেখার চিন্তায় অস্থির ছিলেন? যুদ্ধকালে কেউ কি ডিগ্রি নিয়ে ভাবে? বেঁচে থাকলে সব হবে। স্বজন হারানোর ব্যথায় যাঁরা নিত্য কাতর তাঁরা জানেন তা কি।

সেপ্টেম্বর/অক্টোবরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা গেলে চলতি বছর এবং আগামী বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক ছুটি কমিয়ে এমনকি প্রয়োজনে শিক্ষকদের নৈমিত্তিক ছুটি কমিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ঘাটতি কমিয়ে দেওয়া যাবে। অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা যাবে। অনেকেই সিলেবাস কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলছেন। সেটি ঠিক হবেনা। এতে কাঙ্খিত জ্ঞান লাভ না করেই শিক্ষার্থীরা অন্য স্তরে যাবে। বিষয় কমিয়ে স্থগিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেটিও যথার্থ হবে না। জ্ঞানের ঘাটতির ফল ওদের সারাজীবন পোহাতে হবে। ওরা অন্যের চেয়ে পিছিয়ে যাবে। আমরা যেন জবরদস্তি না করি।

চলুন, সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি। সময়ই সব বলে দেবে।

শ্যামল কুমার সরকারঃ সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি বিভাগ, ঝিট্কা খাজা রহমত আলী কলেজ, হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ।

Facebook Comments Box
ভাগ