ঝর্ণা রহমান, একটি বহমান খরশ্রোতা নদীর অসাধারণ জন্মদিনের সাধারণ স্মরন

মধুসূদন সাহা
জন্ম দিন স্মরনীয়। তবে আনন্দের দিন নয়। মানুষের জীবন থেকে স্মৃতি বহুল একটি বছর চলে যাওয়া মানে জীবনের সময় একবছর কমে যাওয়া। আর তিনি যদি হন সমাজ প্রগতির বন্ধু তবে তো ক্ষতি অপূরণীয়। এমনি এক ব্যক্তিত্বের জন্য দুলাইন লেখার লোভ কে সম্বরন করতে পারে বলুন।
এখানে একটি প্রকট সমস্যা। কোনদিক থেকে তাকে স্মরন করবো। সচেতন মানুষ,কবি, গল্পকার সহ সাহিত্যের সকল শাখায় বলিষ্ঠ পদচারণা, অসংখ্য প্রকাশনা, শিক্ষাবিদ, ভাস্কর, চিত্র শিল্পী, স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পী, পরিবেশবাদী, সাহিত্য সংগঠক, মমতাময়ী গৃহবধূ সহ প্রগতিশীল চিন্তা চেতনার ধারক। ভাববেন, একজীবনে এত কিছু হয় নাকি? হয়। সন্দেহ থাকলে বিষয় উল্লেখ করে আমাকে বলুন, প্রমাণ উপস্থাপন করছি। ইনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য, আমাদের শ্রদ্ধেয়, আত্নীয়, কাছের মানুষ ঝর্ণা রহমান।
আমি গর্বিত, উনাকে কাছ থেকে দেখেছি, গ্রামে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ও সমাজজীবনে। এখন‌ও দেখে যাচ্ছি। ক্লান্তিহীন অপ্রতিহত মেধার বিকাশ। এবার বলুন এত সংক্ষিপ্ত সময়ের ব্যবধানে আমরা উনার জন্ম দিন কি চাই? নিশ্চয়ই না। আমরা চাই সমাজ প্রগতির স্বার্থে অনন্ত সময় পর পর উনার জন্মদিন হোক। অনন্ত কাল সমাজ উনার কর্মকান্ডে সম্বৃদ্ধ হোক।

Facebook Comments Box
ভাগ