অনিকা আক্তারঃ ব্যায়াম যেমন শরীরকে সুস্থ রাখে, তেমনি বই পড়লে মানুষের মন সুস্থ ও আনন্দিত হয়। একটি ভালো বই মানুষের জ্ঞান বিকশিত করে মনের ভিতরে আলো জ্বালাতে সাহায্য করে ।
করোনাভাইরাসের কারণে সব মানুষ যখন ঘরবন্দী, সেসময়ে বই পড়ার জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন মানিকগঞ্জের তরুণ সংগঠক ও সাংস্কৃতিক কর্মী এম.আর.লিটন।
করোনাভাইরাস শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত মানিকগঞ্জে বিভিন্ন পেশার মানুষকে বই পড়তে উৎসব করেন তিনি। এম.আর.লিটন নিজ উদ্যোগে করোনাকালে বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় তিন শতাধিক বই পড়ার জন্য পাঠকদের দিয়েছেন।
এম.আর. লিটন জানান, করোনা বিপর্যয়ে ঘরবন্দী মানুষ এবং সবাই প্রায় অবসর সময় পার করছেন। এমন সময় বই হতে পারে মানুষের ভালো বন্ধু। এই বিষয় বিবেচনা করে ক্ষুদ্র পরিসরে আমি এই উদ্যোগটি নিয়ে ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমি যেসব বই পড়ার জন্য কিনেছি বা বিভিন্ন ভাবে সংগ্রহ করেছিলাম, এর মধ্যে প্রায় তিন শতাধিক বই তরুণদেরসহ বিভিন্ন পেশার পাঠকদের পড়ার জন্য দিয়েছি। এর মধ্যে কিছু বই জেলার বাহিরে পরিচিতদের কোরিয়ার সার্ভিসযোগে পাঠিয়েছি।
এম.আর. লিটন বলেন, পাঠঅভ্যাস আমাদের প্রতিটি মানুষের জন্য জরুরি। এ অভ্যাস একবার করতে পরলে, আমাদের সুখে দুখে বই হবে ভালো বন্ধু। এ করোনা পর্যায়ে, এ অসুস্থ সময়ে বই পড়লে মানুষের মন সুস্থ, আনন্দিত হবে এবং মনোজগৎ হবে বিকশিত।
প্রসংগত, এম.আর.লিটন, মানিকগঞ্জে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের যুক্ত আছেন। তিনি তরুণদের বই পড়ার উৎসাহ দেওয়া, নিয়মিত পাঠচক্র, সাহিত্য চর্চাসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ড সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
কড়চা/ এ এ