দু’টি কবিতা/ এন এম রফিকুল ইসলাম

এলোমেলো ভাবনাগুলো

আঁধার রাতে নীল যমুনায় খিলখিলিয়ে জল হাসে,
চাঁদের কণা ঝিলমিলিয়ে ঢেউয়ে ঢেউয়ে ঐ ভাসে।

ঘূর্ণিপাকের চক্রবাকে কোমড় দোলায় পানার ধাপ,
জেলে নৌকা মাছ শিকারে দুঃসাহসী বাপরে বাপ।

হিম বাতাসে কাঁপন ধরে ভ্রুক্ষেপ যেন নেই তা’তে,
জাটকা ইলিশ লাফায় জোরে ছন্দ সুরে একসাথে।

চাঁদ ডুবে যায় রাত্রি পোহায় তারা হাসে শেষ রাতে,
গাঙচিলেদের কান্না ভাসে সূর্য্য ওঠার আগ প্রাতে।

জীবন নামের রণাঙ্গনে প্রাতের সুরুজ রাতের চাঁদ,
ফুলের সুবাস জলতরঙ্গ সবই যেমন মায়ার ফাঁদ।

পদ্ম বিলের পদ্ম কলির হাসির মেলায় রাত জেগে,
ভোরের শিশির ঘাসের ডগায় যায় শুঁকিয়ে উদ্বেগে।

ভোরের পাখির কলকাকলি সন্ধ্যাকাশের রক্তরাগ,
মধ্য বেলার সময় কেবল সর্বাঙ্গেতেই ব্যথার দাগ।

মোমের প্রদীপ জ্বেলে সবাই করে প্রভুর আরাধনা,
প্রভুর সৃষ্টির দহন জ্বালা দেখেনা কোনই দিনকানা।

রাজার বাগের ফুল ফুটায়ে মালির শয্যা আঙিনায়,
চপল সমীর সুবাস ছড়ায় রাজা সুখে নাক ডাকায়।

উল্টাপাল্টা ভাবনা মাথে তালেগোলে তাল হারাই,
সুখ পাখিটা ধরতে বৃথা আকাশ পানে হাত বাড়াই।

কারও বা সুখ কারও অ-সুখ রঙ্গমঞ্চের অভিনয়,
দূঃসময়ে যে যার মতোই কেউই যেন কারও নয়।

যদি এমন হয়

আবার যদি আসো ফিরে
আবার হবে দেখা,
সেদিন না হয় মুছে দিও
আমার ভাগ্য লেখা।

আপন হাতে সরিয়ে দিও
পথের কাঁটা যতো,
ভালবেসে সারিয়ে তুলো
আমার মনের ক্ষত।

আর যদিনা ফিরে তাকাও
নেইকো অভিযোগ,
তোমার দেওয়া কষ্ট সবই
করবো উপভোগ।

নীল আকাশে দেখব চেয়ে
তোমার শাড়ির নীল,
কালো মেঘে খুঁজে নেবো
ঐ কপোলের তিল।

বিজলী বাতির ঝলকানিতে
দেখবো তোমার হাসি,
ঝড়ো হাওয়ায় রটিয়ে দিবো
তোমায় ভালোবাসি।

ইচ্ছেগুলো ভাসিয়ে দিবো
বাদল ধারার জলে,
দু’হাত ভরে উঠিয়ে নিও
তোমার নীল আঁচলে।

Facebook Comments Box
ভাগ