দেশের আইনেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যেতে পারেঃ মানিকগঞ্জে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

কড়চা রিপোর্ট : আমাদের দেশের ৪০১ ধারার আইনের এবং সেই ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যেতে পারে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবৈধ সরকার জনগণ দেখে ভয় পায়। সরকারি বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জনগণ বিহীন এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংশ করে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এখনো তিনি হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিঃক্ষণে রয়েছেন। সারা দেশের মানুষের দাবি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎস্রা জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায়না। যদি খালেদা জিয়ার কোন কিছু ঘটে তবে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জেলা বিএনপি’র সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, সিনিয়র যুগ্ন-সধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেছেন, রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের জন্য ডাক দিয়েছেন। তিনি এই সংলাপকে অর্থহীন বলে উল্লেখ করে বলেন, এই সংলাপ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এই সরক্রা ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না। এই সরকারের পদত্যাগসহ তিনি নিরপেক্ষ নির্বাচনে দাবি করেন।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার দেশের সকল সুন্দর জিনিস ধ্বংশ করে দিয়েছে। গণতন্ত্র বিচার বিভাগসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধ্বংশ করে দিয়েছে। গুম খুন হত্যা অপহরণ এই সমন্ত অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বিশে^র বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ দেশের বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দেওয়ার কথা বলে ক্ষতায় এসেছে। এখন দেশে চালের দাম ৭০ টাকা। ঘরে ঘরে চাকুরির কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন চাকুরির জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা গুনতে হচ্ছে চাকুরি প্রার্থীদের।

ফখরুল বলেন, বাংলার জনগণকে বোকা ভাববে না, ২০১৮ সালে নির্বাচনে আগের রাতে ভোট দখল করে নিয়ে গেছে। পরের দিন জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তখনও একটি সংলাপ করেছিলো। এখন আবার সংলাপের জন্য ডাকাডাকি করছে রাষ্ট্রপ্রতি। এই সংলাপ অর্থহীন। গণতন্ত্রের সমস্যার সমাধান হবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে না। নির্বাচন কমিশনের সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে সরকারের। নির্বাচন কালিন সময়ে সরকারটা কে থাকবে। সেটা কি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, না হাসিনার সরকার থাকবে। যদি হাসিনার সরকার থাকে তাহলে ভোটও নিরপেক্ষ হবে না।
দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার ও মুক্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম। দেশের আইন আছে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর। তাকে বিদেশে পাঠানো অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। সরকার তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

কড়চা/ বি সি

Facebook Comments Box
ভাগ