মধুসূদন সাহার ‘ফিরে দেখা অতীত জীবন-দুই’

ফিরে দেখা অতীত জীবন-দুই

মধুসূদন সাহা

আমাদের পূর্বপুরুষদের অতীত শিকড় গ্রোথিত ধলেশ্বরীর ওপারে। ধামরাই উপজেলার রুয়াইল ইউনিয়নের রুয়াইল গ্রামে। যা মানিকগঞ্জের সীমান্তবর্তী গ্রাম। কল্পনায় বর্তমান মানিকগঞ্জ শহরের প্রায় দুই কিলোমিটার পূর্বে মত্ত থেকে যদি প্রমত্ত ধলেশ্বরীর কল্পনা করি তবে মত্ত ও রুয়াইল হবে ধলেশ্বরীর এপার ওপার জনপদ। কারণ মাঝখানে একটু এদিক ওদিক হলেও মত্তের চর, চর মাকিমপুর, বারাহির চর, চর কৃষ্ণপুর, চর বিরাটি, ফারিরচর এই সমস্ত অঞ্চলই পড়ে। আর মাঝখানে বসতি থাকলেও তা নদী ভাঙ্গনে নদীতেই পরিণত হয়েছিল। তাই এই বিষয়কে খুব একটা কল্পনা বিলাস বলে আমি মনে করি না।

আমাদের জ্ঞাত পূর্ব পুরুষদের মধ্যে বংশতালিকাটি আমার জানা : ফতে চাঁদ সাহা+ হারান চন্দ্র সাহা+ জলধর সাহা+ মনিন্দ্র মোহন সাহা+ মধুসূদন সাহা।

আমাদের জ্ঞাত পূর্ব পুরুষদের মধ্যে ফতে চাঁদ সাহার নিবাস ছিল ধামরাইয়ের রুয়াইলে। উনারা তিন ভাই ছিলেন। অন্য দুই ভাইয়ের বংশধর মানিকগঞ্জের দাশড়া খাদ্য গুদামের পিছনে মেঘ লাল সাহারা। অন্য ভাইয়ের বংশধর দাশড়া কামাল ভাইয়ের বাড়ির পিছনে দীনবন্ধু সাহা ও টুনা(?) সাহারা। এর মধ্যে মেঘলাল সাহা মানিকগঞ্জ বাজারে গামছার ব্যবসা করতেন। দীনবন্ধু সাহা মানিকগঞ্জ শহরে বিপ্লবী সংঘের পূর্ব দিকে সাইকেল সরমঞ্জামের ব্যবসা করতেন। টুনা সাহার দর্জির দোকান ছিল শহরে। তাদের বংশধররাও মানিকগঞ্জে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন। আমাদের সাথে একটা ক্ষীণ যোগাযোগের ধারাও বজায় আছে।

এবার আসি ফতে চাঁদ সাহার কথায়। উনারা তিন ভাই। তার মধ্যে দুই ভাইয়ের সম্পর্কে তথ্য আমার জানা নেই। তবে ফতে চাঁদ সাহা খুবই কর্মঠ লোক ছিলেন। তিনি শস্যের মধ্যসত্ত্ব ভোগীর ব্যবসা করতেন (ফড়ে/ফইরা) হাটে হাটে। তখনকার সময়ে দোকান বাজারের ব্যবসার স্থায়ী রূপ পরিগ্রহ করেনি। মানুষের পন্যের আদান প্রদান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রয় বিক্রয়ের অন্যতম কেন্দ্র ছিল হাট। সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন। এই হাটে দৌরাত্ম্য থাকত মধ্যসত্ত্ব ভোগীদের। তিনি বিয়ে করেন মত্ত গ্রামে এক জোতদার পরিবারে। বাড়িটার অবস্থান নিশি বাবুর কাছারির মাঠ আর মত্ত বয়েজ স্কুলের মাঝখানে। উনার শ্বশুরের কোন পুত্র সন্তান ছিল না। উনার ঔরসে এক ছেলে এক মেয়ে। মেয়ের বিস্তারিত আমার জানা নেই। একমাত্র (?) ছেলে হারান চন্দ্র সাহা। এই হারান চন্দ্র সাহাই আমার বাবার ঠাকুর্দা। উনার মামা না থাকায় তিনিই মামাবাড়ির যাবতীয় সম্পত্তির উওরধিকারি হন। আর আমাদের বংশ লতিকা রুয়াইল থেকে উপড়ে মত্ত চলে আসে।
পরিনত হারান চন্দ্র সাহার বন্ধকী, খাদ্যশস্য ব্যবসার সাথে জোতদাড়িও করতেন। তিনি মামাবাড়ির সম্পত্তির সাথে নিজেও এর শ্রী ও পরিমাণ বৃদ্ধি করেন। হয়ে যান মত্তের ভূমিপুত্র। যথা নিয়মে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হয়ে বংশ লতিকা বৃদ্ধি করেন। উনার ঔরসে তিন ছেলে, যথাক্রমে জলধর সাহা + হরিমোহন সাহা + মেঘ লাল সাহা।

মত্ত গ্রামের কথাঃ আমার ঠাকুরদা সহ উনাদের তিন ভাইয়ের জন্ম এই মত্ত গ্রামে। মত্ত গ্রামকে নিছক গ্রাম ভাবলে ভুল হবে। এ হচ্ছে ধলেশ্বরীর তীর ঘেঁসে মানিকগঞ্জের এক বনেদী জনপদ। ঢাকা জেলার (পুরাতন) বিক্রমপুরের মত মানিকগঞ্জের মত্ত গ্রাম। মানিকগঞ্জের ইতিহাসে এর সামান্য উল্লেখ থাকলেও বেশিরভাগই চাপা পরে আছে। কেউ গবেষক এর চোখে খোঁজ করলে অনেকটাই বেড়িয়ে আসতে পাওে, কিন্তু পুরোটা কখনও নয়। এ হচ্ছে অধুনিক সভ্যতার নির্মোহতা। মানিকগঞ্জ শহরের প্রাচীন জনবসতির চিহ্ন এই গ্রামের আনাচে কানাচে বিদ্যমান। আর বাকিটা ধলেশ্বরীর গর্ভে।

আমি মত্তের আনাচে কানাচে ঘুরেছি অনেক, অনেক বার। কিন্তু সে সময় আবিষ্কার এর চোখ ছিল না। সেসব শুধুই দৃশ্যমানতা। সেই দৃশ্যমানতা আর আজকে জানার চোখে খোঁজা এই দুইয়ের সম্মিলন আমার এই উপস্থাপনা।

আমাদের মত্তের বাড়ি থেকে পাঁচ/ দশ মিনিটের হাঁটা পথে নোবেলজয়ী অর্মত্য সেন এর বাড়ি, জর্জ বাড়ি। পূর্ব পুরুষদের ভিটা আরকি। অর্মত্য সেন মানিকগঞ্জের আইডেনটিটিকে থিওরেটিক্যাল বলছেন। উনি ঢাকার উয়ারীকেই নিবাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন অনেক জায়গায়।

এর পাশে কবিরাজ বাড়ি। গুপ্ত বংশের প্রতিষ্ঠাতা পুরুষ বর্ধমান থেকে আগত হয়েছিলেন মোগল রাজ পুরুষ মীর মকিমের চিকিৎসক হিসেবে (অনেকের মতে এই মীর মকিমের নামে চর মকিমপুরের নামকরন)। মানিকগঞ্জের ইতিহাস অনুযায়ী তার নাম ছিল শিবানন্দ গুপ্ত। এখানে উনাদের তেইশ পুরুষের বসবাস। তার মাধ্যমে অনুমান করা যায় মত্ত গ্রামের প্রাচীন জনপদ সম্পর্কে। মানিকগঞ্জের সীমানা ছাড়িয়েও এই কবিরাজ বাড়ির নাম সর্বজন বিদিত। এদের পূর্ব পুরুষরা পরবর্তীতে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিও ছিলেন। মানিকগঞ্জের ইতিহাস অনুযায়ী মত্তের এই গুপ্ত পরিবারের একজন প্রতাপ চন্দ্র গুপ্ত ১৯১১ সনে মানিকগঞ্জ ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এই তিনিই মানিকগঞ্জ শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য অনেক তদবীর করে সরকারি তহবিলের ৩৫০০ (সাড়ে তিন হাজার) টাকা অনুদান আদায় করেছিলেন মানিকগঞ্জ মহিলা কলেজ গঙ্গাধর পট্টির বিখ্যাত লোহার ব্রীজ তৈরি করার জন্য। যা ১৯২৪-২৫ এ নির্মিত হয়েছিল।

এই গুপ্ত কবিরাজ বংশের আরেক পুরুষ মত্ত মঠের কিছুটা দক্ষিনে এক বাগান বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। তার ধ্বংসাবশেষ এখনও বিদ্যমান। এই বাগান বাড়ির নামকরণ হয়েছিল মেহেদী বাগ। সুন্দরী বাঈজী মেহেদী বাঈয়ের নামানুসারে। এখনও জায়গাটি মেহেদী বাগ/মেন্দীবাগ নামে পরিচিত। মানিকগঞ্জের ইতিহাসে এরূপ উল্লেখ থাকলেও আমার মতে এই বাগান বাড়ি গুপ্ত বংশের বদলে সেন জমিদারের হওয়াই যুক্তিযুক্ত। কারণ ঢিলছোড়া দূরত্বের এই দুই বাড়ি। জমিদারের চোখের সামনে কেউ বাগানবাড়ি বানিয়ে জলসার মৌতাতে মেতে থাকবেন আর জমিদার চেয়ে চেয়ে দেখবেন যা যুক্তিযুক্ত নয়। এই গুপ্ত বংশের শেষ তিন জনকে আমরা দেখেছি শিক্ষকতা ও সামাজিক কর্মকান্ডে। তারা ছিলেন শিশির গুপ্ত, প্রবোধ গুপ্ত ও উনাদের বোন টুনটুনি পিসি। এরা সবাই অবিবাহিত ও সমাজের জন্য নিবেদিত ছিলেন। অনেকটা মানবেতর ভাবেই মারা গেছেন। এখানে একটা ছোট্ট ঘটনা উল্লেখ করলে মনে হয় অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে ১৯৭৩/৭৪ এর আশেপাশে উনাদের বসতভিটা সংলগ্ন বাগানে ও আশেপাশে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ববিতা, ফারুক, হাসান ইমাম, রওশন জামিল অভিনীত নয়ন মনি ছায়াছবির শুটিং হয়েছে অনেক দিন। দিবানিশি নাওয়া খাওয়া ভুলে আমরা এর নিয়মিত দর্শক ছিলাম। সরাসরি নায়ক নায়িকা ও সিনেমা তৈরির শুটিং প্রথম দেখার অনুভূতি আজও স্মৃতিতে অম্লান।

আমার ঠাকুরদার জন্মভিটার ঢিল ছোড়া দূরত্বে মত্ত সেন বংশের জমিদার বাড়ি। যার অংশ বিশেষে আজকে মত্ত বালিকা বিদ্যালয়। এই জমিদার বংশের অন্যান্য পুরুষদের মধ্যে রামকৃষ্ণ সেন ও প্রসন্ন কুমার সেনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যাদের নাম আজও মানিকগঞ্জের মানুষের মুখে স্মৃতিচারিত হয় তাদের অমর কীর্তির জন্য। জমিদার প্রসন্ন কুমার সেন পিতা রামকৃষ্ণ সেনের মৃত্যুর পর ১৮৯৪ খ্রীষ্টাব্দে পিতার শ্মশান ভূমির উপর সুউচ্চ ও দৃষ্টিনন্দন মঠ তৈরি করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এর কিছুটা ভেঙে পড়লেও আজও এর বৃহত্তর অংশ স্বমহিমায় দাড়িয়ে। আমরা বেতিলা ও আটিগ্রাম মেলা থেকে পায়ে হেঁটে ফিরতে অনেক দূর থেকে এই মত্তের মঠকে নিশানা করেছি। পরবর্তীতে সাথে যোগ হয়েছিল ওয়ারলেস অফিসের সুউচ্চ টাওয়ার। জমিদারদের বংশধররা কেউ আর মানিকগঞ্জে আছেন বলে জানি না।

মত্ত আমাদের পূর্বপুরুষদের ভিটে থেকে নিকট দূরত্বে আর এক স্মরনীয় ও বিখ্যাত স্থান হীরালাল সেনের স্মৃতি বিজড়িত ভিটে। উপমহাদেশে চলচ্চিত্রের জনক তিনি। তার ঠাকুরদা গোকুল কৃষ্ণ মুন্সি ছিলেন ঢাকার প্রখ্যাত আইনজীবী। আর বাবা চন্দ্র মোহন সেন ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের নামকরা আইনজীবী।

আরও অনেক গুনী ও কৃতি মানুষের বাস ছিল এই গ্রামে। সে সব ইতিহাস আজ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ধলেশ্বরী নদীর ভাঙ্গন ও গতিপথ পরিবর্তনে ধলেশ্বরীর তীর থেকে মানিকগঞ্জ মহকুমা প্রশাসন প্রথমে দাশড়া মৌজা ও পরে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয়। সড়ক যোগাযোগ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ধলেশ্বরী নাব্যতা হারিয়ে জনপদে পরিণত হওয়ায় নৌ যোগাযোগ খুবই সীমিত হয়ে পড়ে। মানিকগঞ্জ শহরের পূর্ব দিকে ধলেশ্বরীর বার্ধক্যের সাথে সাথে বিগত শতাব্দীর পাঁচের দশকের শেষ দিকে শহরের পশ্চিমে কালীগঙ্গা যৌবন প্রাপ্ত হয়। কারণ ধলেশ্বরীর একটা বড় শাখা আয়নাপুরের কাছে গতিপথ পরিবর্তন করে কালীগঙ্গার ধারার সাথে প্রবাহিত হতে শুরু করে। সেই সাথে ধলেশ্বরীর তীর ঘেঁষা অঞ্চল দ্রুত ভৌগলিক গুরুত্ব হারাতে শুরু করে। আর রমরমা হয়ে উঠে শহর মানিকগঞ্জ।

উপরে আমাদের প্রতিবেশীদের যে বৈচিত্র্য ও প্রাচুর্য উল্লেখ করলাম সেই বলয়ের মধ্যে আমার ঠাকুরদারা তিন ভাই পিতামাতা সহ বাস করলেও শিক্ষায় ও বিত্তে ওদের ধারে কাছে ছিলেন না। সাধারণ জোতদারি ও ছোটখাট ব্যবসা করলেও প্রথাগত শিক্ষা একদমই ছিল না। তবে অনেকে পরিশ্রম করে ঠাকুরদাদের অবস্থা দিন দিন উন্নতি হতে থাকে। তবে বিত্তে, শিক্ষায় নয়। এর মধ্যে ঠাকুরদার বাবা হারান চন্দ্র সাহার মৃত্যু হলে ভাইয়েরা পৃথক অবস্থান নেন। আর আমার ঠাকুরদা জলধর সাহা কিছুদিন পর পরিবার সহ মত্ত থেকে দুই কিলোমিটার দূরে মানিকগঞ্জ শহর ও বাজারের সন্নিকটে পুর্ব দাশড়া খাল পারে বাড়ি কিনে চলে আসেন।
তিন ভাইয়ের মধ্যে আমার ঠাকুরদা বড়। বাকি দুই ভাই যথাক্রমে হরিমোহন সাহা ও মেঘলাল সাহা মত্ত পুরনো বাড়িতেই থেকে যান। তাদের বংশধররা এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়লেও মূল বংশধরদের অনেকেই এখনো ঐ বাড়িতে বসবাস করেন। ঠাকুরদার দুই ভাই ব্যবসা করে প্রভুত উন্নতি করেন। তারা জমিদারের খাজনা আদায়ের ইজারা নেন। তাদের মত্তের বাড়িও ছোট জমিদার বাড়ির মত। চতুর্দিকে ঘেরা চুন সুড়কির দালান ও ঘাটলা বাঁধানো পুকুর এখনও বিদ্যমান। তাদের খাজনা আদায়ের স্থান ছিল নিশি বাবুর কাছারির পাকা দালানের কোন জায়গা। তাদের সাথে যুক্ত ছিলেন আর এক প্রতিবেশী ভবেশ সেন। হরিমোহন সাহা, মেঘলাল সাহা ও ভবেশ সেনের মোট ষোল আনা শেয়ারের মধ্যে ছিল ৯+৫+২=১৬।

নিশি বাবুর কাছারির যাবতীয় দালান কোঠা ছয়ের দশকের শেষে ভেঙ্গে ওটাকে খেলার মাঠ বানানো হয়। বর্তমানে ডায়াবেটিস হাসপাতাল। ঠাকুরদার ছোট ভাইদের মানিকগঞ্জ বাজারে দোকান ও ব্যবসা ছিল। একটা ছিল মানিকগঞ্জ বাজার লুঙ্গি পট্টিতে পলাশ মিষ্টান্ন ভান্ডারের উল্টো দিকে, কাপড়ের দোকান। অন্যজনের ছিল পলাশ মিষ্টান্ন ভান্ডারের পূবে এক দোকান পর কবিরাজি ঔষধ তৈরির গাছগাছালির ও ফলের দোকান। আমার ঠাকুরদা দাশড়া চলে গেলেও মত্তের সাথে আমাদের যোগাযোগ বংশপরম্পরায়। উৎসবে, অনুষ্ঠানে, বেড়াতে, প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে আমাদের পরস্পরের যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। সে এক মন কেমন করা মাটির টানের অনুভূতি। যা প্রকাশ করা যায় না, হৃদয়ে রক্ত ঝড়িয়ে অনুভব করা যায়। জীবনের ভাটি বেলায় মত্ত ও তার স্বজনদের সাথে আজও মন কেমন করা যোগাযোগ ও অনুভূতি আছে। তবে তা মৃত ধলেশ্বরীর মতই ক্ষীণ ধারা।(চলবে)

কড়চা/ এম এস

Facebook Comments Box
ভাগ