কড়চা রিপোর্টঃ যমুনার পানি মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টে গত তিন দিন ধরে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শাখা নদী কালিগঙ্গা, ইছামতি ও ধলেশ্বরীর পানি অব্যাহত হারে বৃদ্ধির ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনিত হয়েছে। জেলার শিবালয়, দৌলতপুর, হরিরামপুর, ঘিওর, সাটুরিয়া ও সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে জেলা শহরের আশে পাশের অধিকাংশ এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখেরও বেশি মানুষ। পানিবন্দি এসব মানুষজন গবাদিপশু নিয়ে চরম দুভোর্গ পড়েছেন। ইতিমধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি সহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি ভাবে ত্রান সহায়তা প্রদান করা হলেও তা যথেষ্ট নয় বলে জানান বানভাসি মানুষজন।
হরিরামপুর, শিবালয়, ঘিওর এবং দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষ বেশি দুর্ভোগে আছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি থাকার পরও অধিকাংশ মানুষ এখনো কোন ত্রান পায়নি। জনপ্রতিনিধিরা বলছেন চাহিদার তুলনায় ত্রানের পরিমান কম হওয়ায় সকলকে ত্রান দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, পর্যাপ্ত ত্রানের ব্যবস্থা আছে। অবশ্য প্রশাসন ত্রান বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস নিজেই এইসব মানুষদের খোঁজখবর নেওয়া সহ ত্রান সামগ্রী বিতরণ করছেন।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী যমুনার পানি আরিচা পয়েন্টে ২৪ ঘন্টায় ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে এখন বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অভ্যন্তরীণ নদীসমূহের পানিও বিপদসীমা থেকে ১০০ সেন্টিমিটার ছাড়িয়ে গেছে।
কৃষি সম্প্রসাণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বন্যার পানিতে ইতিমধ্যে ২৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
এদিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এর মধ্যে পৌর এলাকায় অধিকাংশ এলাকায় পানি উঠে গেছে। পৌর সভার হিসাব অনুযায়ী পানির নীচে তলিয়ে গেছে ১২ কিলোমিটার পাকা সড়ক।