কড়চা রিপোর্টঃ মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। এনিয়ে নৌকা ডুবিতে ৫ জনের মৃত্যু হলো। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে মর্মান্তিক এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে উপজেলায় চরমাস্তল এলাকায়। নিহতরা পরস্পরের আত্মীয়। এরা ঈদের সময় আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে এসে নৌকা ডুবিতে প্রাণ হারালো ।
নিহতরা হলেন আব্দুল হকের ছেলে জিয়াউল হক জিয়া (১৩), মেয়ে রোকসানা (১৭) ও মিথিলা (৬), আব্দুল হকের শালিকা হনুফা বেগম (৩০) ও তার ছেলে শান্ত (১২)।
দৌলতপুর থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হক ঈদের আগে সাভার থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দৌলতপুর উপজেলার আবুডাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর মামুদ আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে শ্বশুড় বাড়ি থেকে একই উপজেলার চরমাস্তল গ্রামে ভাইরাভাই ( স্ত্রীর বোনের স্বামী ) সেলিমের বাড়িতে নৌকা যোগে বেড়াতে যান। সেলিমের ছেলে মনির হোসেনের নৌকায় চড়েন আব্দুল হক, তার স্ত্রী হালিমা বেগম, ছেলে জিয়াউল হক জিয়া (১৩), মেয়ে রোকসান (১৭), মিথিলা (৬), শালিকা শামিমা, আরেক শালিকা হুনুফা (৩০) ও তার ছেলে শান্ত (১২)। নৌকা কিছু দূর যাওয়ার পর বেলা পৌনে দুইটার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সৃস্টি হয়। এতে মনির হোসেন নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারায় নৌকা ডুবে যায়। নৌকার ৯ জনের মধ্যে ৪ জন সাঁতার কেটে তীরে উঠতে পারলেও সাঁতার না জানার কারণে পানিতে তলিয়ে যায় ৫ জন। এরা হলো আব্দুল হকের ছেলে জিয়াউল হক জিয়া (১৩), মেয়ে রোকসানা (১৭) ও আরেক মেয়ে মিথিলা (৬), শালিকা হনুফা বেগম (৩০) ও তার ছেলে শান্ত (১২)। নৌকা ডুবির কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া ৫ জনের মধ্যে রোকসানা, জিয়াউল হক জিয়া ও হনুফা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে নৌকা ডুবির স্থান থেকে বেশ কিছু দূরে নিখোঁজ থাকা মিথিলা ও শান্তর লাশ ভেসে উঠে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসমত আলী জানান, নৌকা ডুবিতে মঙ্গলবার ৩ জনের লাশ ও বুধবার ২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।