কড়চা রিপোর্টঃ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (এসি ল্যান্ড) আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল এক স্কুলছাত্রী। রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকালে জেলা বারের আইনজীবী ভবনে এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। এ সময় বরের মামাকে ছয় মাসের কারাদন্ড এবং কনের বোনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সহকারী কমিশনার আলী রাজীব মাহমুদ জানান, আগের দিনই (শনিবার) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, জেলা বারের আইনজীবী ভবনের একটি কক্ষে জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হওয়ার কথা। এই খবরে রোববার সকাল থেকেই ওই কক্ষের আশপাশে তিনি (এসিল্যান্ড) একজনকে দায়িত্ব দেন। সকাল ১০টার দিকে ওই লোকের খবর পেয়ে তিনি (এসিল্যান্ড) সেখানে যান। এ সময় বর ও কনেসহ উভয়পক্ষের দু’জনকে সেখানে দেখতে পান। এর পর ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, তাকে জোর করে বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি বরের মামা জাকির হোসেনকে ছয় মাসের কারাদন্ডাদেশ এবং কনের বোন লাকি আক্তারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কনে ও বরপক্ষের জিজ্ঞাসাবাদে কোনো আইনজীবীর নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। অর্থদন্ডপ্রাপ্ত ওই নারী নগদ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে বিয়ে দেবেন না মর্মেও মুচলেখা নেওয়া হয়েছে। কারাদন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি জাকির হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কড়চা/ বি সি