সিংগাইরে গৃহকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু

স্বজনদের আহাজারি

মাসুম বাদশাহ : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা গ্রামে রবিউল বাশার (৫৫) নামে এক গৃহকর্তার লাশ রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত রবিউল ২ সন্তানের জনক ও মৃত রুস্তম খন্দকারের পুত্র। তার পৈত্রিক বাড়ি জেলার শিবালয় উপজেলার রুপসা গ্রামে। নিহতের বড় ভাইয়ের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিউল গত ২০-২২ বছর যাবত শ্বশুর বাড়ির পাশেই জমি কিনে বাড়ি করেন। পাশপাশি প্লাস্টিকের বেড়ার ব্যবসা করতেন। গেল ২ বছর আগে তার স্ত্রী আবেদা সুলতানা দুবাই চলে যান। পরবর্তীতে ছেলে রনিকেও বিদেশে নিয়ে যান। একমাত্র মেয়ে মিথিলা দেশে থাকলেও পাশেই নানা ফজল হক মন্ডলের বাড়িতে থাকতো। মেয়েই তাকে রান্না করে নিয়মিত খাবার পৌছে দিত। রোববার সকাল ১০ টার দিকে মিথিলা বাবার খোঁজ নিতে গেলে ঘরের ভেতর তার মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, অনেক দিন ধরে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে তার ভাইয়ের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ নিয়ে বছর খানেক আগে থানায় জিডিও করা হয়েছিল। আমার সন্দেহ তারাই খাবারের সাথে কিছু মিশিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে।

রবিউলের শ্বশুর ফজল হক মন্ডল বলেন, আমি নিজেই মেয়ের জামাইকে ৫ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করে দিয়েছি। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে তিনি জানান।

লাশের সুরতহালকারী কর্মকর্তা এসআই বখতিয়ার বলেন, নিহতের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ২/৩ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম নিহত রবিউলের পারিবারিক দ্বন্দ্বে ইতিপূর্বে থানায় অভিযোগ দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, উদ্ধারকৃত লাশের পচন ধরা শুরু হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হাফিজুর রহমান, সহকারি পুলিশ সুপার (সিংগাইর সার্কেল) মোঃ রেজাউল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের মেয়ে মিথিলা, শ্বশুর ফজল হক মন্ডল ও তার স্ত্রী এবং শ্যালক ইউনুছকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।

কড়চা/ এস কে

Facebook Comments Box
ভাগ