মাসুম বাদশাহঃ মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত এলাকা থেকে নামতে শুরু করেছে পানি। একই সাথে দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যায় কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও। পানিতে নিমজ্জিত সবজি মাচাসহ জেগে উঠতে শুরু করেছে সকল প্রকার নষ্ট হওয়া ফসলি জমি। তার পরেও পুণরায় আতংক কাজ করছে তাদের মধ্যে। ফলে হতাশা বাড়ছে।
এদিকে , নতুন করে সবজি এবং অন্যান্য ফসলের বীজ সংগ্রহ, বীজতলা তৈরি, জমি চাষ, সার ও কীটনাশক ক্রয়ে তাদের যে মোটা অংকের অর্থ প্রয়োজন তা নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন মহাবিপাকে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬৯ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হলেও স্থানীয়দের ধারণা তা আরো বেশি হবে। একদিকে চলমান মহামারি করোনা অন্যদিকে আকস্মিক বন্যার কবলে ফসল হারিয়ে প্রায় ২০ হাজার কৃষক এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এলাকার কৃষক পরিবারের দুর্ভোগ এখন চরমে। কৃষকরা এখন পর্যন্ত কোন প্রকার সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা পাননি। তাদের ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন সরকারের আর্থিক সহযোগিতা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এ উপজেলাটিতে ১ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে মাচায় বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১ হাজার ৬শ হেক্টরই পানিতে তলিয়ে গেছে। ৩শ ৫০ হেক্টর পেঁপে ক্ষেত প্রায় পুরোটাই বন্যা কবলিত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধান ও ২ হাজার ৭শ হেক্টর রোপা আমনের মধ্যে ২ হজার ৫শ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত। এছাড়া ৮শ হেক্টর পাটের মধ্যে সাড়ে ৩শ হেক্টর জমির পাট চাষিরা কাটতে পেরেছেন। আউশ ধানসহ বিভিন্ন সবজি এবং ফলজ বাগান নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য সেক্টরের চেয়ে কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ টিপু সুলতান স্বপন বলেন, কৃষকরা যাতে বন্যা পরবর্তীতে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সেজন্য সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি স্বল্পমূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হবে। সেই সাথে তাদেরকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কড়চা/ এম বি