দুর্গাপূজার তাৎপর্য/ ড. দিলীপ কুমার সাহা

মানিকগঞ্জ শিববাড়ি মন্দিরের দুর্গা প্রতিমা

দুর্গাপূজার তাৎপর্য

ড. দিলীপ কুমার সাহা

হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থে মহিষামর্দিনী দুর্গার সৃষ্টি সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা আছে। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে আছে, দুর্গাপূজার প্রথম প্রবর্তক কৃষ্ণ, দ্বিতীয়বার দুর্গাপূজা করেন স্বয়ং ব্রহ্মা আর তৃতীয়বার দুর্গাপূজার আয়োজন করেন মহাদেব। আবার দেবী ভাগবত পুরাণ অনুসারে ব্রহ্মার মানসপুত্র মনু ক্ষীরোধ সাগরের তীরে দুর্গার আরাধনা করে বর লাভে সফল হন।

কৃত্তিবাসী রামায়ণে দুর্গাপূজার বর্ণনা আছে। পুরাকালে দেবতারা মহিষাসুরের অত্যাচারে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়েছিল। তখন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের শরীর থেকে আগুনের মতো তেজোরশ্মি একত্রিত হয়ে বিশাল আলোকপুঞ্জে পরিণত হয়। ওই আলোকপুঞ্জ থেকেই আবির্ভূত হন দেবীদুর্গা। শাস্ত্র অনুসারে শরৎকালে দেবতারা নিদ্রায় থাকেন। দক্ষিণায়নে নিদ্রিতা দেবীকে জাগরিতা করতে হয়, তাই এই সময়টি তাদের পূজার যথাযথ সময় নয়। অকালের পূজা বলে শারদীয় দুর্গাপূজার নাম হয় ‘অকালবোধন’।

কালিকা পুরাণ ও বৃহদ্ধর্ম পুরাণ অনুসারে রাম ও রাবণের যুদ্ধের সময় শরৎকালে দুর্গাকে পূজা করা হয়েছিল। রামকে সাহায্য করার জন্য ব্রহ্মা দুর্গাপূজার বোধন ও পূজা করেছিলেন। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিন দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। আবার সমগ্র পক্ষটি দেবীপক্ষ নামে পরিচিত। দেবীপক্ষের সূচনা হয় পূর্ববর্তী অমাবস্যার দিন, এই দিনটি মহালয়া নামে পরিচিত। অন্যদিকে দেবী পক্ষের সমাপ্তি পঞ্চদশ দিন অর্থাৎ পূর্ণিমায়। এই দিনটি কোজাগরী পূর্ণিমা ও বার্ষিক লক্ষ্মীপূজার দিন হিসেবে গণ্য হয়। দুর্গাপূজা মূলত পাঁচ দিনের অনুষ্ঠান হলেও মহালয়া থেকেই প্রকৃত উৎসবের সূচনা ও কোজাগরী লক্ষ্মীপূজায় তার সমাপ্তি। আসলে ওই পূজা আর কিছু নয়, এক বছর পরপর উমা স্বামীগৃহ কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে মা-বাবার বাড়িতে আসেন। তারপর আবার ফিরে যান কৈলাসে স্বামী শিবের কাছে।

সনাতন ধর্মের যেকোনো পূজার ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সংস্কৃত মন্ত্রগুলো। দুর্গাপূজার মন্ত্রগুলো সাধারণত শ্রী শ্রী চণ্ডী থেকে পাঠ করা হয়। ঢাকঢোল, খোল, করতাল, সুগন্ধি আগরবাতি আর এগুলোর সঙ্গে সংস্কৃতমন্ত্র পবিত্র এক অনিন্দ্য সুন্দর পরিবেশের জন্ম দেয়। বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীর কাছে দেবী দুর্গা পরম ভক্তিময়। তার একরূপ অসুরবিনাশী, আরেকরূপ মমতাময়ী মাতার। তিনি অশুভের প্রতীক অসুরদের দলপতি মহিষাসুরকে বধ করে দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেন। ফলে দুর্গাপূজা প্রকৃতপক্ষে আমাদের অন্যায়-অশুভের বিপরীতে ন্যায় ও শুভশক্তির জয়ের বার্তা দেয়। মা কেবল সৌন্দর্য-মমতা-সৃজনের আধারই নয়, অসহায় ও নিপীড়িতের আশ্রয় দানকারী বলেও গণ্য ও পূজিত।

দুর্গাপূজার প্রতিমার কাঠামোতে মা দুর্গা একা থাকেন না বরং মায়ের সঙ্গে থাকেন তার স্বামী সন্তানসহ বিভিন্ন বাহন; যার দর্শন বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। এই কাঠামোতে আছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, সিংহ, মহিষ এবং শ্রী শ্রী দুর্গা এবং তার পশ্চাতে দেবাদিদেব শিব।

লক্ষ্মী-ধন-সম্পদের দেবী। সরস্বতী-জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী। কার্তিক-বলবীর্য ও সাহসের প্রতীক। গণেশ হলেন-গণশক্তির প্রতীক। শিব-শান্তির প্রতীক। মহিষাসুর-অশুভ শক্তির প্রতীক। দুর্গা হচ্ছেন-সব শুভশক্তির সম্মিলিত প্রতীক। যেকোনো পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতি করতে হলে অবশ্যই লক্ষ্মী-সরস্বতী-কার্তিক-গণেশ অর্থাৎ ধন, জ্ঞান, বলবীর্য ও গণশক্তির সম্মিলিত প্রয়াসের একান্ত প্রয়োজন। এই সামষ্টিক শক্তিই অশুভ শক্তিকে পদানত-পরাস্ত করে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের শিবের অর্থাৎ শান্তির প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

বিংশ শতকের শুরুর দিকে বিভিন্ন কারণে দুর্গাপূজা সমাজের বিত্তমান এবং অভিজাত হিন্দু পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমান শতাব্দীর শুরুর দিকে দুর্গাপূজা তার সার্বজনীনতা পায়। বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের দুর্গাপূজায় সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো।

দুর্গাপূজা সাধারণত সমাজের সব স্তরের মানুষের সম্মিলনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। উদ্যোক্তা কিংবা আয়োজক শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, অন্য সম্প্রদায়ের উপস্থিতিও লক্ষ করা যায়। পূজার শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত সব আয়োজনে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতি লক্ষণীয়। উৎসব ঘিরে এই আনন্দঘন পরিবেশ ও মিলন বিশ্বে বিরল। এই পূজার মধ্যে সব ধরনের পেশার মানুষের অংশগ্রহণ থাকে ও অসাধারণ সামাজিক সংহতি তৈরি করা হয় বলেই-এটি সার্বজনীন পূজা।

কুমারেরা নতুনভাবে শৈল্পিক দৃষ্টি দিয়ে নুতন প্রতিমা, ভাস্কর্য ও খেলার পুতুল তৈরি করে, তাঁতিরা কাপড় বোনে, ফুলচাষি ও ফুল বিক্রেতা ফুলের যোগান দেয়, পূজার নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সৃষ্টিশীল মানুষরা প্যান্ডেল নির্মাণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পূজার থিম নির্ধারণ করে, পূজা উপলক্ষে ইতিহাস, ঐতিহ্য, তাৎপর্য তুলে ধরে শারদীয় সাহিত্য সংকলণ প্রকাশ করে, দশকর্মা ভান্ডার পূজার সব প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করে, ঢাকি ও পুরোহিতগণ ব্যস্ত সময় পার করে, মেয়ে-জামাইসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ঘরে আসে, আবালবৃদ্ধবনিতা নতুন জামা-কাপড় পরে ও দলবেঁধে বেড়াতে বের হয়, গায়ক নতুন গান বাঁধে, নাট্যজন নতুন নাটক তৈরি করে, শিল্পীরা এ সময় তাদের শিল্পকলার পারদর্শিতা দেখানোর সুযোগ পায়-দেশে তৈরি হয় সুস্থ সংস্কৃতির ধারা। ফলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ থাকায় দুর্গাপূজা সার্বজনীনতার মূর্তপ্রতীক।

সম্প্রদায়ের সীমানা ছাড়িয়ে পূজা এখন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দুর্গাপূজাকে ঘিরে গড়ে উঠে সব মানুষের মৈত্রীর বন্ধন। অশুভ ও অপশক্তির পরাজয় এবং শুভশক্তির জয়, সত্য ও সুন্দরের আরাধনায় সর্বজীবের মঙ্গল সাধন শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য। দুর্গাপূজাকে ইউনেস্কো শুধু পূজা হিসেবে দেখেনি। দুর্গাপূজাকে একদিকে ধর্মানুষ্ঠান ও অন্যদিকে শিল্পের একটি অনিন্দ্য সুন্দর রূপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তাদের ভাষায় দুর্গাপূজা হলো-সার্বজনীন অনুষ্ঠানের একটি সর্বোত্তম উদাহরণ।

সত্যিকার অর্থে, পূজার ধর্মীয় অংশটুকু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কিন্তু উৎসব, আপ্যায়নে ও পূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মেলায় সবার অংশগ্রহণ থাকে ও আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় সবাই।

বাঙালি সনাতনীরা অন্যায়, অবিচার অসত্য থেকে দূরে থাকার জন্য মনের ও জগতের অসুর যাতে বিনাশ লাভ করে, এই উদ্দেশ্যে নানারকম প্রার্থনা করে দুর্গাপূজার আয়োজন করে থাকেন। নারী নির্যাতনকারীদের বিনাশ যে অবশ্যম্ভাবী, এ পূজা সে শিক্ষাও দেয়। শারদীয় দুর্গা উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তিকে নিঃশেষ করে শুভশক্তির উদয় ঘটে। এই যে সুর এবং অসুরের দ্বন্দ্ব, সুন্দর-অসুন্দরের বিবাদ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে বিরামহীনভাবে বিশ্ব চরাচরে চলে আসছে। ব্যক্তি মানুষের ভেতরে যে অসুর শক্তি বসবাস করে সে শক্তিই মানুষকে অন্যায়, অসত্য পথে চলার উৎসাহ জোগায়। আজ সমগ্র বিশ্বে যত অন্যায়, যুদ্ধ-বিগ্রহ, মানুষে মানুষে সংঘাত সবকিছুই হলো মানুষের ভেতরে থাকা সুরাসুরের দ্বন্দ্ব। দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালনের জন্যই অসুরের বিরুদ্ধে লড়ে যেতে হয়। অন্যায়-অসুন্দরের বিরুদ্ধে সব সংগ্রামে সহযোগিতা করেন মা দুুর্গা।

অসুর শক্তিকে পরিত্যাগ করা বড় কঠিন কাজ। অসুরকে দমন করা মানে সমাজ ও রাষ্ট্র শক্তিতে সত্য, সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করা। সত্য, সুন্দর, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবার সম্মিলিত প্রয়াসের প্রয়োজন। এ জন্য পূজা উদযাপন করতে হলে হাতের সঙ্গে হাত শক্ত করে ধরতে হয়। এই মিলনে সবার মধ্যে ভালোবাসা তৈরি করে। সত্যিকার মিলনে শ্রেণি, ধর্ম, বর্ণের বিভেদ দূর হয়। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে ভক্তিভরে অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে লড়তে হলে পূজার সাত্ত্বিকতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। পূজার সাত্ত্বিকতার অর্থ হলো বিধি অনুযায়ী পূজা উদযাপন। এর সঙ্গে যাতে মানবীয় সত্তার বিকাশ ও ধর্মীয় শিল্পবোধ জাগ্রত হওয়ার মতো সাংস্কৃতিক কার্যক্রম উপস্থাপন করা যেতে পারে। দরিদ্র নারায়ণের সেবা না করে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা, অশ্লীল নৃত্য, গীত ও তথাকথিত ডিজে নৃত্যসহ উচ্চস্বরে গান বাজানো, কিছু অনাকাঙ্খিত কার্যকলাপ পূজার সার্বজনিনতা ও মাহাত্মকে কলুষিত করে। পূজাকে উপলক্ষ করে যাতে নিজেদের মধ্যে সব ধরনের বৈষম্য হ্রাস পায়, সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হয়, ভালোবাসা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা, সংযোগ ও ঐক্য তৈরি হয়, সেটাই হবে পূজার আসল তাৎপর্য। এ ক্ষেত্রে পূজার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে। ধর্মীয় উৎসব যখন শ্রেণি-পেশা, ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের ভেদাভেদ ভুলে পারস্পরিক ঐকতানের মূর্ছনা সৃষ্টি করতে পারে, তখনই প্রকৃত অর্থে ধর্ম তার সার্বজনীন রূপ লাভ করে।

তাই, দুর্গাপূজা কেবল পুষ্পবিল্বপত্রের এবং ঢাকঢোলের পূজা নয়। এ পূজা মানবতার এক বিরাট মিলন উৎসব। সব সন্তান যেমন মায়ের নাড়িছেঁড়া ধন, তেমনি সেই সন্তানরাও আবার মাকে ঘিরেই পারস্পরিক সম্প্রীতি নিয়ে মিলেমিশে থাকার শিক্ষা দেয়। পূজার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি শব্দ ও মূর্তি ইতিবাচক অর্থ বহন করে। ভগবতী দুর্গা। ভগমানে ঐশ্বর্য। তাই, ভগবতী মানে ঐশ্বর্যশালিনী। ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য-এই ছয়টি ঐশ্বর্যের নাম ‘ভগ’। আবার তিনি ‘মহামায়া’। মহামায়া মানে মহাপরিমাপনকর্ত্রী। দেবীপূজার প্রাক্কালে বিল্লবৃক্ষে বোধন হয়। বোধন মানে জাগরণ, চেতন করে তোলা। অসত্য, অসুন্দর তথা অসুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শক্তি হিসেবে দেবী দুর্গার দশ হাতে ধারণ করা দশটি অস্ত্র শক্তির প্রতীক। দেবীর বাহন সিংহ শক্তির ধারক। পূজা মানেই তো সংবর্ধনা অর্থাৎ যার পূজা করি তার মোহনীয় গুণাবলিকে সুনির্দিষ্ট অনুশীলনের দ্বারা নিজেকে চরিত্রগত করে তোলা এবং ধীরে ধীরে তা বাড়িয়ে তোলা।

বলি হলো-উৎসর্গ। নিজেদের হিংস্রতা ও লালসাকে বলি দেওয়া। বিসর্জন শব্দটি বি-সৃজ ধাতু থেকে উৎপন্ন, বিশেষ প্রকারে সৃষ্টি করা। যে মাতৃপূজা করলাম, সেই মায়ের সর্ব মঙ্গলকারীনি স্নেহসুন্দরভাবে ও চরিত্রকে নিজের অন্তরে বিশেষভাবে সৃষ্ট, অর্থাৎ দৃঢ় নিবদ্ধ করে তুলতে হবে। মায়ের সেবায় আমাদের বৃত্তিগুলোকে নিয়োজিত করি, তখনই হয় বিসর্জনের স্বার্থকতা। বিজয়া দশমী ঐক্যের প্রতীক। প্রতিমা বিসর্জনের পর অনেকে পূর্বশত্রুতা ভুলে পরস্পর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়।

আমাদের সমাজে যেভাবে অন্যায় অবিচার অনাচার অনৈতিকতা দুর্নীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এ দুর্গতি থেকে পরিত্রাণের জন্য মা দুর্গার স্নেহ ও আশীর্বাদ আজ একান্ত প্রয়োজন। মাতৃ আরাধনা তখনই স্বার্থক হয়ে উঠবে, যখন চারদিকে এই অনাচারজনিত দুর্দিনে ঘরে ঘরে দুর্গার মতো মেয়েদের জন্ম ও প্রস্ফুটন হবে। তাই সর্বশেষে মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা-তিনি যেন সমাজে বিরাজমান অন্যায়, অবিচার, অরাজকতা, অনৈক্য, ধর্মীয় গোঁড়ামি, জাতপ্রথার প্রভাব, দুর্নীতি ও যুদ্ধবিধ্বস্ত অশান্ত পৃথিবী থেকে মুক্ত করে শান্তি, সুন্দর, একতার ধরণী আমাদের উপহার দেন, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সংহতি রক্ষায় সব অশুভ শক্তি পরাজিত হয়ে শুভ শক্তির জয় হয়-এটাই মায়ের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।

ড. দিলীপ কুমার সাহা : প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক, সিআইডি, বাংলাদেশ পুলিশ

কড়চা/ ডি কে এস

Facebook Comments Box
ভাগ