নারী শিক্ষার গুরুত্ব/ ফারজানা ইয়াসমিন

নারী শিক্ষার গুরুত্ব

ফারজানা ইয়াসমিন
’আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের এশটি শিক্ষিত জাতি দেব’-নেপোলিয়নের এই চির স্মরণীয় বাণীর প্রতিধ্বনি আজও বিশ্বের বুকে অনুরণিত হচ্ছে। কেননা বিশ্ব শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি বা নতুনত্ব হলেও লক্ষ্ লক্ষ্ নারী এখনো শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। যার ফলে সন্তানের প্রথম হাতেহড়ি যে শিক্ষকের হাতে সেই থেকে যাচ্ছে অন্তরালে।
শিশুরাই আগামী দিনের কর্ণধার। সন্তান শিক্ষিত না হলে স্বাভাবিকভাবেই জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন নারী শিক্ষা প্রসঙ্গে বলেছেন, নারী শিক্ষা এশটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রধান উপকরণ সমূহের মধ্যে অন্যতম। তাই সমাজ তথা সভ্যতার বিকাশে নারী শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সারাজীবন নারী শিক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছেন। কারণ তিনি অনুধাবন করেছিলেন পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও হতে হবে শিক্ষিত ও স্বাবলম্ভী। কাজেই কোন দেশের কোন জাতির কোন সমাজের উন্নয়ন নারী শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া সম্ভাব নয়।
আজ এশবিংশ শতাব্দির এই অগ্রগতির সময়েও আমাদের অধিকাংশ নারীই শিক্ষাবঞ্চিত। ফলে নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করে নারীর শিক্ষাগ্রহণের পথকে সুগম করতে হবে। বয়স্ক নারীদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে, পাশাপাশি অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে। সর্বোপরি নারী শিক্ষার উন্নতিকল্পে শুধু সরকারই নয়, পরিবার এবং সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে।
ফারজানা ইয়াসমিন : সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি), শাকরাইল উচ্চ বিদ্যালয়, শিবালয়, মানিকগঞ্জ।
কড়চা/ এফ ই
Facebook Comments Box
ভাগ