কড়চা রিপোর্টঃ আজ থেকে ৯ বছর আগে ২০১১ সালের এই দিন সকালে “কাগুজের ফুল“ সিনেমার সুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকা ফেরার পথে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ প্রডাকশন সহকারী ওয়াসিম, জামাল এবং মাইক্রোবাস চালক মুস্তাফিজুর রহমানসহ ৫জন নিহত হন। আহত হয়েছিলেন মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম জলি।
২০১১ সালের ১৩ আগস্টের সকাল ১০ টার দিকে মুসুলধারে যখন বৃষ্টি হচ্ছিল তখন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক এলাকায় তাদের বহনকৃত মাইক্রোবাসটি পৌছালে বিপরীত গামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহরে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা সেই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ ৫ জন।
দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই স্থানীয় উদ্যোগে নির্মিত হয় স্মৃতিফলক। ২০১১ সালের পর থেকে প্রতিবছর ওই স্মৃতি ফলকে স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যমের ব্যক্তি বর্গ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ (১৩ আগস্ট) সকাল ১১ টায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশুক মনির স্মরণে দুর্ঘটনাস্থলে স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পন, মানববন্ধন, আলোচনাসভা ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ এর সভাপতিত্বে সংহতি মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর চলচ্চিত্র সংসদ মানিকগঞ্জ জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইকবাল হোসেন কচি, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, মিশুক মুনীর ও তারেক মাসুদ স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিপন, সাংবাদিক সমিতির মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ডিএম নাসিম, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, সাংবাদিক পারভেজ বাবুল প্রমুখ ।
বক্তারা বলেন, আদালতের রায়ে ঘাতক বাস চালকের শাস্তি হয়েছে। কিছুদিন আগে বাস চালক মারা গেছেন। তবে এখনও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক নিরাপদ হয়নি, থেমে নেই সড়কে মৃত্যুর মিছিল। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক নিরাপদসহ মানিকগঞ্জে রেল লাইনের দাবি জানান তারা।