কড়চা রিপোর্ট : মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে অগ্নিকান্ডে সমেজান (৫০) নামে এক গৃহবধু ভস্মিভূত হয়েছে। অগ্নিকান্ডে একটি ঘরসহ সকল আসবাসপত্র পুড়ে গেছে। এতে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার জোন্তা গ্রামে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
অগ্নিকান্ডে নিহতের ছেলে সুমন জানান, তার বাবা ঢাকায় ভ্যান চালান। সে ও তার মা বাড়িতে থাকেন। বুধবার বিকেলে সে খেলতে যায়। এসময় বাড়িতে আগুন ধরার সংবাদ পেয়ে এসে দেখে পুরো ঘর আগুন ধরে গেছে ও মা ঘরের ভিতরে আটকা পড়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আগুন নিভাতে নিভাতে তাদের ঘরের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে তাদের ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ঘরের ভিতর আটকে পরা তা মা সমেজানের মৃত্যু হয়েছে। বাবা বাড়িতে আসার পর মাকে দাফন করা হবে।
প্রতিবেশী কোরবান আলী জানান, বুধবার বিকেলে সুমনের মা সমেজান ঘরের ভিতর মোবাইল চার্জ দিতে যায়। এসময় বৈদ্যুতিক শর্ট শার্কিট থেকে ঘরে আগুন ধরে যায়। গ্রামের সবাই মিলে পানি ঢেলে আগুন নিভাতে পারলেও ঘরের সব কিছু পুড়ে যায় ও সমেজান ভস্মিভূত হয়ে মারা যান।
জিয়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন জানান, তার এলাকায় বুধবার বিকেলে অগ্নিকান্ডে একজন গৃহবধু মারা গেছেন। ওই পরিবারকে ব্যক্তিগত ভাবে সাহায্য করা হবে।
দৌলতপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলেন। অগ্নিকান্ডে একজন গৃহবধু ঘরে আটকা পড়ে মারা গেছে। বৈদ্যুতিক শর্টশার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলা হলেও কিভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করা হবে ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ নির্ধারণ করা হবে।
দৌলতপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছিলো। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। অগ্নিকান্ডে নিহত ওই নারী একই বাড়িতে ছিলেন।
দৌলতপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ওই পরিবারকে সরকারিভাবে সাহায্য করা হবে।
কড়চা/ বি সি