মানিকগঞ্জে অবৈধ ডেরা রিসোর্ট বন্ধে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম 

কড়চা রিপোর্ট : মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রামের অবৈধভাবে নির্মিত ডেরা রিসোর্ট বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আদেশ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে স্থানীয় জনগণ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১১টায় মানববন্ধন করেছেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্মারকলিপি পাঠানো হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ক্ষুব্ধ বালিয়াখোড়া এলাকার সর্বস্তরের লোকজনের অভিযোগ, ডেরা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা এলাকার মানুষকে দুধ–দইয়ের ব্যবসা বা ডেইরী ফার্ম নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করে ওই স্থানে অবৈধভাবে রিসোর্ট নির্মাণ করেছেন। এ রিসোর্ট থেকে নিয়মবিরোধী বাণিজ্যিক কার্যক্রম, পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তোজাম্মেল হোসেন তোজা, মানিকগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতীব মুফতী মুজিবুর রহমান, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, ঘিওর মহিলা মাদ্রসার পরিচালক মুফতি হেদায়েতুল্লাহ, মুফতি আঃ মান্নান, মাওলানা আব্দুল মতিন এবং হিজুলিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি আমিনুল ইসলামসহ পুরো এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী লোকজন। বক্তারা জানান, এলাকার সামাজিক ও ধর্মীয় ভাবমূর্তি রক্ষার্থে এবং অনাচার রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক।

বক্তারা দাবি করেছেন, অবিলম্বে ডেরা রিসোর্টের সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে সেখানে কলকারখানা স্থাপন করে স্থানীয়দের জন্য স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে; দখলকৃত কবরস্থান উদ্ধার করে তা গ্রামবাসীর জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে; ভরাটকৃত সরকারি খাল পুনরায় খনন করে সেচ ও বৃষ্টিজল সঠিকভাবে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; ক্ষতিগ্রস্তদের জমিজমা ফেরত দিতে হবে; এবং যাদের দখল-অনুপ্রবেশ আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উপরন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আগের আদেশ দ্রুত কার্যকরেরও জোর দাবি জানানো হয়েছে।

মানববন্ধনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ১৫ দিনের মধ্যে কোনো তৎপরতা না হলে স্থানীয়রা শান্তিপূর্ণভাবে আরও শক্ত আন্দোলনের পথে যাবে এবং প্রয়োজনে রিসোর্ট ভাঙা-গুটিয়ে নেওয়ার মতো কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়।

ঘিওর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেছে বলে বালিয়াখোড়া এলাকার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন যে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দ্রুততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এসে তাদের দাবিগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

কড়চা/ এ এস

Facebook Comments Box