মাসুম বাদশাহ : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নের বরাটিয়া-দক্ষিণ চারিগ্রাম এলাকার কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নারী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার অবসান ঘটেছে। পুলিশ বাহিনী , ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে সাজানো গোসল করতে যাওয়া ৩ সন্তানের জননী মালেকা (৩২) নামের ওই নারীকে উদ্ধারের চেষ্টায় সবাই ব্যর্থ হন সবাই। তবে পরিবারের দাবি, মালেকা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা বলছেন, গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা সাজনো নাটক।
শুক্রবার (২০নভেম্বর) ওই নারীর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাটকীয় ঘটনার পরের দিন গত বুধবার (১৮ নভেম্বর) পার্শ্ববর্তী ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ব্রীজের কাছে নদীর তীরে নিখোঁজ হওয়া আমেনাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন ওই এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে তার স্বামী মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও পরিবারের লোকজন তাকে সেখান থেকে নিয়ে এসে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আমেনার পরিবারের ভাষ্যানুযায়ী, গত মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালিগঙ্গা নদীতে ছোট বোন মনিকার সাথে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুব দিয়ে মালেকা নিখোঁজ হন। ওই দিন দুপুর হতে রাত ৯টা পর্যন্ত নিখোঁজ হওয়া আমেনাকে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টরা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন।
এদিকে, আমেনা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শুরু হয় কানাঘুঁষা । পরের দিনও সকালে ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টরা উদ্ধার অভিয়ানের প্রস্তুতি নেন। এ সময় পরিবারের কাছে ফোন আসে আমেনাকে নবাবগঞ্জের শোল্লা ব্রীজের কাছে পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট রাকিবুল হাসান বলেন, নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ন বানোয়াট। চারিগ্রামের হারুনের অটোগাড়িতে বাড়ির সামনে থেকে উঠে আমেনা সায়েস্তা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নেমে পড়ে। অন্য কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে ছোট বোনকে দিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজানো হয়। তিনি আরো বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে পরের দিন সকালে উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখতে অনুরোধ করি। প্রশাসনের উচিত এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা ।
আমেনা উদ্ধারকালের প্রত্যক্ষদর্শী নবাবগঞ্জের শোল্লা খতিয়া জাগ্রত যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাকিবুল হোসেন বলেন, উদ্ধারকৃত ওই নারীর সাথে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ নাটক। এর পেছনে অন্য কোন কারণ থাকতে পারেন বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে আমেনার স্বামী ও সাভারের হেমায়েতপুর যাদুরচর এলাকার বাসিন্দা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, তার স্ত্রী এখানো ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুস্থ না হলে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
কড়চা/ এম বি