কড়চা রিপোর্ট : মুজিব কোটের অপব্যবহার রোধে আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করতে প্রধামমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা বরাবর পত্র লিখেছেন মানিকগঞ্জের একজন কলেজ শিক্ষক। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে ১৩ অক্টোবর রেজিস্ট্রিযোগে প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আলাদা দু’টি পত্র প্রেরণ করেছেন ওই শিক্ষক শ্যামল কুমার সরকার। তিনি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান। তাঁর পত্রটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
“মাননীয় প্রধান মন্ত্রী,
‘আমার সালাম নেবেন। আশা করি পরম করুণাময়ের কৃপায় আপনি কুশলে আছেন। বিশেষ একটি মনোকষ্টের জন্য আপনার নিকট লিখছি। আমার ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন-এ প্রার্থনা রইলো। আমি দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করে আসছি জাতির জনক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গারী, স্বাধীনতার ঘোষক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ না করে শুধুমাত্র হীন ব্যক্তিস্বার্থে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর মডেল মুজিবকোট’ পরিধান করে আসছেন। এভাবে মুজিব কোটের অবমাননা করে চলেছেন। এতে মুজব কোটের পবিত্রতা কলুষিত হচ্ছে। জাতির জনককে অপমান করা হচ্ছে। বিষয়টি মোটেও যথার্থ নয় বলে আমি মনে করি। কেননা, মুজিব কোট শুধুমাত্র একটি কোটই নয়। এটি তার চেয়ে আরো অনেক বেণি কিছু। এব্যাপারে আমার কথাগুলো চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) এর প্রকাশনা ‘সচিত্র বাংলাদেশ’ (মার্চ-২০২০, পৃষ্ঠা-৫১)সহ সাপ্তাহিক কড়চায় প্রকাশিত হয়েছে। জানিনা আপনার দৃষ্টিগোচর হয়েছে কিনা। কাজেই এ বিষয়ে আমি আপনার বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (এখনও সনদ পাইনি)ও মুজিবভক্ত হিসেবে আপনার কাছে জোর দাবি করছি চলামান মুজিব বর্ষেই আপনি মুজিব কোট এর অপব্যবহার রোধের আইনি উদ্যোগ নেবেন ও মুজব কোট ব্যবহার বিধিমালা প্রণয়ন করবেন। এতে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধাও প্রদর্শণ করা হবে। জাতির জনকের কণ্যা এবং বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ ব্যাপারে আপনার গৃহিত পদক্ষেপ কোটি কোটি প্রকৃত মুজিব প্রেমিককে উজ্জীবিত করবে, প্রেরণা জোগাবে। আমি অধীর অপেক্ষায় থাকবো আপনার সিদ্ধান্তের জন্য। আমি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান (ইনডেক্স নম্বর: ৪২৮৮২৭) এবং ৪৭, গঙ্গাধরপট্টি ব্লক-বি, মানিকগঞ্জ পৌরসভা, মানিকগঞ্জ-১৮০০ ঠিকানার স্থায়ী বাসিন্দা। আপনার সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন কামনা করে শেষ করছি।
বিনীত
আশীর্বাদপ্রার্থী
তারিখ: ১৩-১০-২০২০ খ্রিষ্টাব্দ
স্বাক্ষর
(শ্যামল কুমার সরকার)
শ্যামল কুমার সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিশেষ পোশাক ছিল সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা আর ৬ বোতামের কালো কোট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফাই মূলত মুজিব কোটের ৬ বোতাম। এই কোট পরেই বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে নতুন এক বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ক্ষেত্রবিশেষ স্বার্থান্বেসী মহল দ্বারা ভুলুণ্ঠিত হলেও তাঁর ব্যবহৃত কোটের মডেল ‘মুজিব কোট’ এর ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। মুজিব কোটের অপব্যবহার রোধে আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। প্রধানমন্ত্রী বরাবর পত্র দিয়েছি। জানি না তিনি পত্রটি পাবেন কিনা। আমি চাই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে পড়ুক।
কড়চা/ জেড এ বি