২৮ জুলাই মানিকগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তাক আহম্মেদ এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। তার সম্পর্কে লিখেছেন লেখক সাংবাদিক সাব্বিরুল ইসলাম সাবু।
মোস্তাক বয়সে আমার প্রায় সাত/ আট বছরের ছোট। কিন্তু আমার চাইতে অনেক আগেই সে সাংবাদিকতা শুরু করেছিল। সে হিসাবে আমার চাইতে মোস্তাক এক ধরনের সিনিয়র ছিল।
সাংবাদিকতা জীবনের শুরুতে মোস্তাকের কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। অনেক কিছু শিখেছি। নিউজ লেখার কায়দা, সংবাদ সংগ্রহের পদ্ধতি, কোন বিষয়টি সংবাদের বিষয়বস্তু হতে পারে এ নিয়ে নানা ভাবে পরামর্শ দিয়েছে। একজন সাংবাদিকের যত বেশি সোর্স তার তথ্য পাওয়ারও সুযোগ বেশি। সাধারণত কেও তার সোর্সকে অন্য আরেক সাংবাদিকের সাথে শেয়ার করেননা। কিন্তু মোস্তাক আমাকে তার অনেক সোর্সের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। মোটকথা আমার সাংবাদিকতার প্রথম দিকে মোস্তাকের গাইডেন্স না পেলে হয়ত এই লাইনে টিকতেই পারতাম না।
আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে কেন যেন মুখফুটে এ কথাটি কখনোই তাকে বলা হয়নি। অথচ প্রায় ২৭/২৮ বছর একসাথে সাংবাদিকতা করেছি। মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের এক ছাদের নিচে বসেছি। বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি মানিকগঞ্জ ইউনিটের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় মোস্তাককে পেয়েছি সেক্রেটারি হিসাবে।
মোস্তাক আজ আমাদের মাঝে নেই। আজ তাঁকে আমার সাংবাদিকতা জীবনের গাইড বলে স্বীকার করে নিতে একটুও দ্বিধা হচ্ছে না। জানিনা ওপার থেকে বড় ভাইয়ের এই কৃতজ্ঞতা ছোট ভাই মোস্তাক অনুভব করতে পারলো কিনা। তবে আমি নিজে যেন একটু ভারমুক্ত হতে পারলাম।
কড়চা/ এস আই এস