সুরেশ চন্দ্র রায় : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার দক্ষিণ শিবালয়, ছোট আনুলিয়া ও অন্বয়পুর এলাকার যমুনা নদীর ভাঙন রোধে আজ পর্যন্ত কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙনের তীব্রতাও বেড়েছে বহুগুণ। এ বছর টানা বর্ষণ আর বর্ষা শুরুতেই নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই নদী পাড়ের অনেক ঘরবাড়ি, আবাদি ও অনাবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আবার অনেক বাড়িঘর রয়েছে হুমকির মুখে। তাই ভাঙ্গন আতঙ্কে এখানকার জনসাধারণ চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙ্গন রোধ কল্পে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর বেশ কয়েকবার আবেদন করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভ।
জানা গেছে, এ বছর প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে এ এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্বয়পুর গ্রামের কমল হলদার বলেন, এক মাসের বেশি সময় ধরে নদীতে ভাঙ্গছে। আমাদের বাড়ি নদীর পারে পড়ে গেছে। যে কোন সময় নদীতে চলে যেতে পারে। আমাদের যাওয়ার কোন জায়গা নাই। তাই এই ঝুঁকির মধ্যেই আমরা বসবাস করছি।
পার্বতী রানী হলদার বলেন, আমাদের বাড়ি ঘর নদীতে যাচ্ছে। আমাদের থাকার জায়গা নাই। এ পরিস্থিতে মহা চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
ছোট আনুলিয়া গ্রামের মনসুর আলী বলেন, বিগত দিনে নদী পার এলাকার অনেক বাড়ি ঘর নদীতে চলে গেছে। এবারও বর্ষার শুরু থেকে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আমাদের এখান দিয়ে যেন একটি বেরি বাধ দিয়ে দেন।
অন্বয়পুর গ্রামের মিনাজ উদ্দিন বলেন, আমাদের বাড়ি তিন ভাঙ্গা দিয়েছে। পরে আমরা নদী পার এলাকা থেকে ভিতরে গিয়ে বাড়ি করেছি। এবারও অনেক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে নদী পারের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
একই এলাকার আসাদ মন্ডল বলেন, নদী ভাঙ্গনের কারণে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাই সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন এই ভাঙ্গন রোধে যেন দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, শিবালয়ের নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। খুব দ্রুতই শিবালয়ের যমুনার ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করা হবে।
কড়চা/ এস সি আর