মাসুম বাদশাহ : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চান্দহর নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রীজটির কাজ দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবি ব্রীজের স্থানে পল্টন ঢোকানোর ব্যবস্থা না থাকায় কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এলজিইডি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বর্ষা মওসুমে পল্টন আনার জন্য চিঠি দেয়া হলেও তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি করেনি। এ অবস্থায় চুক্তি বাতিলের দিকে এগুচ্ছে এলজিইডি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকারি অর্থায়নে পল্লী সড়কের গুরত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চান্দহর নদীর ওপর ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ্য ব্রীজের কাজ পান মেসার্স নাভানা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। সে অনুযায়ী ৩৪ কোটি ৮৬ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৩০ টাকা ব্যয়ে গেলো ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ব্রীজটির কাজ শুরু হয়। এ কাজটি দু’বছর মেয়াদে গত ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ দু’দফায় কাজের মেয়াদ বাড়ালেও এখন পর্যন্ত অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়নি।
সরেজমিন দেখা গেছে, ব্রীজটির কাজ রয়েছে বন্ধ। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নির্মাণের শুরু থেকেই ব্রীজের কাজ চলছে ঢিমেতালে। অধিকাংশ সময়ই তারা কাজ বন্ধ রাখেন। নির্মাণাধীন ব্রীজের পশ্চিম প্রান্তে বাজার সংলগ্ন সাইট অফিসের সহকারী প্রকল্প প্রকৌশলী মো. মোহসীন বলেন, চান্দহর নদীটির প্রবেশ পথ পার্শ্ববর্তী ইটাভাড়া এলাকায় নদীর মুখ বন্ধ থাকায় পল্টন আনা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া সরকারি রেট অনুযায়ী বালু ধরা হয়েছে প্রতি ঘনফুট ৫ টাকা। অথচ এখানে খরচ পড়ে ১২ টাকা। কোনোভাবেই নদী থেকে বালু উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। আদৌ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ওই প্রকৌশলী।
চান্দহর ইউপি চেয়ারম্যান মো.শওকত হোসেন বাদল বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে একাধিকবার ও সংসদ সদস্যকে দিয়ে চীফ ইঞ্জিনিয়ারকে বলা সত্ত্বেও কাজ হচ্ছে না। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি দ্রুত ব্রীজটির কাজ সম্পন্ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাভানা কনস্ট্রাকশনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. ফারুক হোসেন বলেন, নদীতে ড্রেজার না চলায় বালুর অভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে। ঈদের পর কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। চুক্তি বাতিল সম্পর্কে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মুহাম্মদ রুবাইয়াত জামান বলেন, বর্ষা মওসুমে লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য চিঠি দিয়ে পল্টন আনার রিমেন্ডার দেয়াসহ দু’দফায় মেয়াদ বাড়ানো হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা হতাশ । তাই চুক্তি বাতিলের দিকে এগুচ্ছি।
কড়চা/ এম বি