সিংগাইরে যৌন কেলেঙ্কারীর অভিযোগে বহিষ্কৃত শিক্ষকের বেতন-ভাতা উত্তোলন

মাসুম বাদশাহঃ মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সাহরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত সাময়িক বহিষ্কৃত সিনিয়র শিক্ষক আশরাফুর রহমান শিরু সরকারি বেতন ভাতার অর্ধেকের স্থলে পুরোটাই উত্তোলন করছেন। আর এ টাকা উত্তোলনে সহায়তা করেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিসহ কতিপয় সদস্য। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আশরাফুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হলে গত বছরের ১ অক্টোবর তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়। নিয়মানুযায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষক সরকারি বেতন-ভাতা অর্ধেক পাওয়ার কথা। এ নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক একে এম নজরুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে নিয়মিত পুরোটাই উত্তোলন করে নিয়েছেন ওই শিক্ষক। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে নেন তিনি। সেই সঙ্গে স্কুল ক্যাম্পাসেও রয়েছে তার নিয়মিত যাতায়াত। সেই সঙ্গে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগেই তাকে স্বপদে পুনর্বহাল করার জোর চেষ্টা করছেন একটি মহল। অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুর রহমান বলেন, অক্টোবর থেকে জুন পর্যন্ত বেতন ভাতার সমদুয় টাকা উত্তোলন করে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা রাখা হয়েছে। মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে বাদীর সাথে আপোষ-মিমাংসা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

সাহরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেতন- ভাতা উত্তোলন করে শর্ত সাপেক্ষে স্কুলের একাউন্টে জমা রাখা হয়েছে।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আফসার উদ্দিন বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের কারণে টাকাটা যাতে সরকারি কোষাগারে ফেরত না যায় সেজন্য উত্তোলন করে জমা রাখা হয়েছে। তবে কোনো রেজুলেশন করা হয়নি।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ বলেন, সাময়িকভাবে বহিস্কৃত শিক্ষক যদি বেতনের পুরো টাকা উত্তোলন করেন তবে সেটা সম্পূর্ণ বেআইনী। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

কড়চা/ এম বি

Facebook Comments Box
ভাগ