কড়চা রিপোর্ট : মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৪ জুলাই) সকালে হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের সরফদি-নগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধুর নাম নাজমা বেগম (৪০)। তিনি জেলার শিবালয় উপজেলার মালুচী গ্রামের কাশেম আলীর ছোট মেয়ে। স্বামী ইসলাম সর্দার একজন কৃষক।
নিহত নাজমার স্বামী ইসলাম সর্দার বলেন, সকাল বেলা আমি এবং আমার স্ত্রী ক্ষেতে মরিচ তুলতে যাচ্ছিলাম। ক্ষেতে বর্ষার পানি থাকায় আমার স্ত্রী আমাকে বললো, তুমি নৌকা দিয়ে ওই পথে যাও। আর আমি হেটে এদিক দিয়ে যাই। কিছুদুর যাওয়ার পর পাশের খেতে থাকা আমার বড় ভাই মোশারফ কান্নার শব্দ শুনতে পায়। আমার বোনের ছেলে শামিম পাশের ক্ষেত থেকে চিৎকার করে বলে, এই রফিক, মামিকে মারোস কেন? আমার ভাই ও ভাগিনার আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে রফিককে ধাওয়া দেয়ার পর পালিয়ে যায় রফিক। এরপর আমরা সবাই দেখি হাটুপানিতে আমার স্ত্রী নাজমা পড়ে রয়েছে। আমার বড় ছেলে রনি সর্দার লোকজনের সহযোগিতায় নাজমাকে মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে এক্সরে রিপোর্ট দেখার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। তাকে দ্রুত এম্বুলেন্সে করে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স ও হাসাপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হরিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং ঘটনার বিবরণ শুনি। এরপর অভিযুক্ত রফিককে আটকের জন্য তদন্ত ওসি মোশারফ হোসেনসহ ৪ জনকে দায়িত্ব দেই। তারা অভিযান চালিয়ে জেলার শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের ফেচুয়াধারা গ্রাম থেকে বেলা আড়াইটার দিকে রফিককে (৪৫) আটক করতে সক্ষম হয়। আটক রফিক সরফদি নগর গ্রামের শফি উদ্দিনের ছেলে। কথাকাটির এক পর্যায়ে বাঁশ দিয়ে নাজমাকে আঘাত করে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কড়চা/ জেড এ বি