শিবালয়ের দুর্গম আলোকদিয়ায় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর ও এমপি দুর্জয়

মারুফ হোসেন : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার দুর্গম চরের নাম আলোকদিয়া। এ বিশাল চরে প্রায় বিশ হাজার লোকের বসবাস। মূলত এ চরবাসীকে যমুনা নদী মূল জনপদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। যমুনার ভাঙ্গা গড়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলে এদের জীবনা। নদীতে মাছ ধরা আর কৃষি কাজ করেই এখানকার লোকজন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ভৌগলিক কারণে এসব অবহেলিত জনগোষ্ঠীর খোঁজ-খবর নিতে বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ছুটে যান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এসময় তারা স্থানীয় একটি হাটে চরবাসীর সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহণ করেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, শিবালয় সার্কেল তানিয়া সুলতানা, শিবালয় থানার ওসি ফিরোজ কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, ভাইস চেয়ারম্যান মিরাজ হোসেন লালনসহ স্থানীয় সহস্রাধিক চরবাসী মানুষ।

ডিআইজি হাবিবুর এ প্রতিবেদককে বলেন, মূল জনপদ থেকে বিচ্ছিন্ন এ চরবাসীর কথা শুনে এখানে তাদের খোঁজ-খবর নিতে এসেছি। এ চরাঞ্চলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন গড়ে তোলার পরিকল্পনার ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, এই চরাঞ্চল থেকে এক দিন দেশ নেতৃত্ব দেওয়ার মত লোক তৈরি হবে। এজন্য সবার ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে হবে। আর সবাইকে মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা হলে অবশ্যই পুলিশকে অবগত করতে হবে। সব সময় আপনাদের পাশে পুলিশ থাকবে। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ্য করেন।

এর আগে তিনি পার্শতী হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা এলাকায় বেদে সম্প্রদয়ের জন্য কবরস্থানের উদ্বোধন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাইমুর রহমান দুর্জয় জানান, চরকে ঘিরে বিশাল পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে মুজিব কেল্লাহ নির্মাণসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্প হাতে রয়েছে। এছাড়া চরবাসীর জীবন-মান উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিনিয়তই এ অঞ্চলের খোঁজ-খবর নিজে সরেজমিনে এসে রাখছি। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতিমধ্যে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এছাড়া শিবালয়ের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশরত্ন শেখ হাসিনা এমন একটি প্রকল্প বরাদ্ধ করেছেন যেখানে শুধু স্থানীয়রাই নয় অন্য জেলার লোকেরা কাজ করতে পারবে। ইতিমধ্যে অর্থনেতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে। জোন কাজ শিখার জন্য স্থানীয়ভাবে পারদর্শী শ্রমিক গড়তে উপজেলা পর্যায়ে কারিগরী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এদের মধ্যে যারা বেশি লেখাপড়া করে আইটি সেক্টরে কাজ করবে তাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য এ অঞ্চলেই স্থাপিত হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার।#

কড়চা/ এম এইচ

Facebook Comments Box
ভাগ