কড়চা রিপোর্ট : চিকিৎসকের পরিবর্তে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এবং তাদের সহকারীদের দিয়ে প্যাথলজি ল্যাবে পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার দায়ে মানিকগঞ্জে দু’টি হাসপাতালের প্যাথলজি সেন্টার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া, টেস্টের ফি ও ওষুধের দাম বেশি নেওয়ার দায়ে ওই দু’টি প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে অর্থদন্ড এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছলিমা শিরিন।
প্রতিষ্ঠান দুটি হলো, গার্লস স্কুল রোডের মানিকগঞ্জ এপোলা হাসপাতাল এবং মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলপ্ন দোয়েল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
তাছলিমা শিরিন বলেন, আমি আজ বিকেল ৩ টার দিকে ডাঃ সাজেদা আক্তার স্বর্ণাকে নিয়ে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করি। অভিযানকালে গার্লস স্কুল সড়কে অবস্থিত মানিকগঞ্জ এপোলা হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাবে দেখতি পাই, সেখানে একজন টেকনোলজিস্ট বিভিন্ন টেস্ট করছেন এবং পরীক্ষার রিপোর্ট দিচ্ছেন। যা করার কথা একজন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের। চিকিৎসকের পরিবর্তে তার রিপোর্ট দেওয়া আইনত অপরাধ। একারণে ওই প্যাথলজি সেন্টারকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক নিয়োগের পর খুলতে পারবে। এছাড়া, টেস্টের ফি বেশি নেওয়ার দায়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরপর, অভিযানে যাই মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলপ্ন দোয়েল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্টের পরীক্ষা এবং রিপোর্ট দিচ্ছিলেন এক টেকনোলজিস্টের সহকারী। সেখানে এই কাজ করার কথা একজন রেডিওলজিস্টের। একারণে প্রতিষ্ঠানটির এক্সরে বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের ক্লিনিকের রোগীদের নিকট থেকে ওষুধের দাম নির্ধারিত মূল্যের বেশি রাখার দায়ে আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কড়চা/ জেড এ বি