কড়চা রিপোর্ট : মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাট ট্রাক টার্মিনাল এলাকা থেকে ঢাকা-পাটুরিয়া সড়ক উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এনডিই প্রতিষ্ঠানসহ দু’টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তা না পেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ভেকু ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। তাছাড়া কোম্পানীর ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও স্টোর ম্যানেজারকে চাপাতি দিয়ে খুনের হুমকি প্রদান করে তাদের কাছে থাকা কোম্পানীর ২ লাখ ২২ হাজার টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
এঘটনায় ১৪ এপ্রিল শিবালয় থানায় নয় জনের নাম উল্লেখ এবং আরো অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। সড়ক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান এনডিই‘র ম্যানেজার আইনুল হক জানান, তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এদিকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ চাঁদা দাবি ও ভাংচুরের ঘটনার মূল আসামি মো: নাঈমসহ অধিকাংশ আসামি স্থানীয় প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধি।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী এমএম কোম্পানীর প্রোপ্রাইটার মো. আমিনুল ইসলাম মিন্টুর দায়ের করা মামলায় জানা গেছে, শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের চিহ্নিত চাঁদাবাজ আ: মতিনের ছেলে নাইম(২৭)সহ তার সঙ্গীয় ৮ জন ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কের চার লেনের উন্নয়ন কাজের অন্যতম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এনডিই লিমিটেড এন্টারপ্রাইজের কাছে দীর্ঘদিন ধরে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গত ১২ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১ দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ট্রাক টার্মিনালে রাখা ওই প্রতিষ্ঠানসহ এমএম কোম্পানীর পৃথক দু’টি ভেকু ভাংচুর চালিয়ে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এসময় এনডিই কোম্পানীর ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও স্টোর ম্যানেজারকে চাপাতি দিয়ে খুনের হুমকি ও মারপিট করে তাদের কাছ থাকা কোম্পানীর ২ লাখ ২২ হাজার টাকা লুটে নেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত প্রধান আসামি সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম সক্ষম হয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. নাঈম হোসেন, মো. আনিসুর রহমান ও মো. রাজিব হোসেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মতিন, রাসেল, সুজন মাইজভান্ডারি, আরিফ, ইকবাল ও ইসমাইল। এছাড়া আরো অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের কথা মামলায় বলা হয়েছে।
শিবালয় থানার ভারপপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ফিরোজ কবির জানান, তিনি মামলার এজহারভুক্ত আসামিদের প্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
কড়চা/ এস কে