
কড়চা রিপোর্টঃ ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে পৌঁছে গেলো ক্ষতিপূরণের চেক। ২১ জুন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া-কামতা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে এই চেক তুলে দেন মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুছাম্মৎ শাহীনা আকতার। একঘন্টা সময়ের মধ্যে ১৭ টি চেকের মাধ্যমে তিনি তিন কোটি ২৯ লাখ পচাত্তর হাজার ছয়শত পনেরা টাকা বিতরণ করেন।
চেক বিতরণকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো: মনজুর হোসেন, সাটুরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরা, হাইওয়ে পুলিশ সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ও স্থানীয় ধানকোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আব্দুর রউফ।
চেক বিতরণপূর্বে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুছাম্মৎ শাহীনা আকতার বলেন, গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিস-কাম ব্যারাক ভবন, ডাম্পিং গ্রাউন্ডসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের জন্য ০২/২০২৮-২০১৯ নং এল এ কেসের মাধ্যমে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার কামতা মৌজায় দুই একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সরকারি বিধান অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণে মোট ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় সাত কোটি সত্তর লক্ষ ছিয়াশি হাজার চারশত আঠারো টাকা।
তিনি বলেন, মোট ৪৪ জন দাবীদারের মধ্যে আবেদন পাওয়া গেছে ৩৭ টি। এদের মধ্যে দেওয়ানী আদালতে মামলা চলমান থাকায় ১২ টি আবেদনের অনূকূলে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া, আটটি আবেদনে কাগজপত্রের রেকর্ডীয় মালিকানার ধারাবাহিক মিল নেই। একারণে ৩৭টি আবেদনের মধ্যে ২০টি ব্যতীত অন্য ১৭ টি আবেদনের অনুকূলে তিন কোটি ২৯ লাখ পচাত্তর হাজার ছয়শত পনেরা টাকা বিতরণ করা হলো্। ত্রুটিপূর্ণ কাগজপত্রগুলি ঠিক হলে অন্যদেরকেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।
ক্ষতিপূরণের চেক পেয়ে কয়েকজন বলেন, জমি অধিগ্রহণের সময় বিভিন্ন লোকের কাছে গিয়েছিলাম যাতে জমি না নেয়।শুনেছিলাম টাকা পেতে অনেক ঘুরতে হয়। আমাদের সেই ভুল ভেঙ্গেছে। বাজারে জমির যে দাম আছে তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। স্যারেরা বাড়িতে এসে টাকা দিবেন তা কখনও ভাবিনি।