দুই বছরেও নির্মাণ শেষ হয়নি নবাবগঞ্জ-শোল্লা ব্রিজের সংযোগ সড়ক

মাসুম বাদশাহ : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের দক্ষিণে নিলাম্বর পট্টি ও ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের শোল্লার সংযোগস্থলে কালিগঙ্গা নদীর ওপর ৯’শ মিটার ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় আড়াই বছর আগে। কিন্তু ব্রিজের উত্তর পাশে ৩৬০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ ২ বছরেও শেষ হয়নি। সংযোগ সড়কটি নির্মাণে ধীর গতির কারণে ৪৪ কোটি টাকা ব‍্যয়ে নির্মিত ব্রিজটি অব‍্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্তমানে ব্রিজটি দর্শনার্থীদের পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সঙ্গে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার সংযোগস্থল শোল্লা কালিগঙ্গা নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় উত্তর পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল দীর্ঘ দিন। জটিলতা কাটিয়ে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ না করে পূর্বের চলমান রাস্তার ওপর দিয়েই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এলজিইডি’র অর্থায়নে ৬ কোটি ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্রিজের উত্তর পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করে ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর।

নবাবগঞ্জ এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর এ কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, তার বিপরীত চিত্র।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, শুরুতে বেশ কিছু দিন তোড়জোড়ে কাজ চললেও দীর্ঘ দিন ধরে ব্রিজটির সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। এক বছরের কাজ ৩’শ ষাট মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রায় ২ বছরেও শেষ না হওয়ায় যোগাযোগে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা এবং ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার লোকজন। অসুস্থ রোগী এবং বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে শোল্লায় কালিগঙ্গা নদী পাড়ি দিতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে দু’উপজেলা নদী পাড়ের অসহায় লোকজন।

এ প্রসঙ্গে ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের দায়িত্বে থাকা সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, মহামারি কোভিট-১৯ এর কারণে ব্রিজের সংযোগ সড়কের কাজ সময় মত করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা হবে।

সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ রুবাইয়াত জামান বলেন, ব্রিজটি নবাবগঞ্জ উপজেলার অন্তর্ভূক্ত বিধায় সকল কাজের তদারকি ওই উপজেলা এলজিইডি অফিস করে থাকেন।

এ ব্যাপারে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য বলেন, জমি সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে ওঠার পর গত দেড় বছর ধরে লকডাউন চলমান রয়েছে। ফলে যথাসময়ে সংযোগ সড়কের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

কড়চা/ এম বি

Facebook Comments Box
ভাগ