তরবারি
প্রতিমা রায় বিশ্বাস
ধ্বজভঙ্গ পুরুষের হাতে থাকে মৌনমিছিলের মোমবাতি।
বিয়ের আগে ধ্বজভঙ্গ পুরুষ চিনে রাখ্ মেয়ে।
মোমবাতি তোমার মেরুদন্ডে লেগেছে আগুন রোগ,
ক্ষয়ে ক্ষয়ে টুপটাপ বৃষ্টি।
হাতে ধরা মোমবাতির স্নিগ্ধ আলোয়
বীর্য ফোঁটা ঝরছে দেখো ।
ওখানেই । হ্যাঁ ওখানেই জন্মাচ্ছে ধর্ষণ। অসংখ্য ।
পুরুষ তুমি চুপচাপ মোমবাতি আরেকটি ধরো।
দেখো
কামাক্ত পুরুষ অসুর উল্লাসে গলিয়ে দিচ্ছে শিশ্ন।
টুপটাপ বৃষ্টি ফোঁটা সে আজ।
আজ চাঁদ হীন পূর্ণিমা, ভেজা পূর্ণিমার উত্তাল সমুদ্র
সমুদ্র যদি তোমার বুক,
তাহলে পুরুষ, তোমার শিরদাঁড়া জ্বলন্ত মোমবাতি আজ কেন?
তুমি কি সত্যিই পুরুষ?
না।
সদ্য নেভা শ্মশান থেকেও উঠে আসে স্বর – নাঃ না নাআআআআ
মেনে নাও। মেনে নাও সত্যি।
পুরুষ হলে তোমার হাতে মোমবাতি নয়
উঠতো জেগে শান দেওয়া মেবারের তরবারি।
অসুর মুন্ডমালা অর্পণ হত মা কালীর।
তোরা সন্তানও নোস্ কারোও,
তোরা তোরা? তোরা শুধু মোমবাতি।
মুখ চেপে ধরে আছে কেউ । তাই না?
আজকে তাই স্রোতহীন নদ অশ্বখুরাকৃতি।
এই রক্ত ভেজা দিন, সূর্য হীন। মিছিল। সংলাপ হীন।
আমি কত রাত ঘুমাই নি
এবার ঘুমাতে যাবো
কারণ এ আমার পৃথিবী নয়, যেখানে জ্বলে নপুংসক মোমবাতি।
কড়চা/ পিআরবি