কড়চা রিপোর্ট : সাত মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে জাপান প্রবাসী প্রতারক স্বামীর গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্যাতিতা এবং প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী এক নারী। মঙ্লবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী স্ত্রী মৌসুমী হোসেন মুন্নী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ২০১৯ সালের ১ মে পারিবারিকভাবে ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা জাপান প্রবাসী জুয়েল শিকদারের সঙ্গে তার (মৌসুমী হোসেন) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেওয়া হয়। বিয়ের ১৭ দিন পর জুয়েল জাপানে চলে যান। এরপর সাড়ে ৩ মাস পর দেশে আসেন। বিশেষ টাকার প্রয়োজন দেখিয়ে তার স্বর্ণালঙ্কারগুলো জুয়েল বিক্রি করে দেন। তারও কয়েক মাস পর জুয়েল যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা টাকা দাবি করেন। এতে অপারগতা দেখালে জুয়েল তাকে মারধর করেন।
এক পর্যায়ে অন্তঃসত্বা মৌসুমি জানতে পারেন তাঁর স্বামী তাকে বিয়ে করার আগে আরো ৩টা বিয়ে করেছে এবং ২স্ত্রীকে নিয়ে জাপানে বসবাস করছেন। অপর স্ত্রীকে আলাদা বাসাভাড়ায় রাখছেন। তাকে বিয়ের করার আগে এসব কথা গোপন রাখে জুয়েল। তাদের দুই বছরের সংসার জীবনে গত ৭মাস আগে জান্নাতুল মেহেক রাইসা নামের এক কন্যা সন্তান আসে। এরপর থেকে তার প্রতারক স্বামী তাকে অপমান, অবহেলা, নির্যাতন ও যৌতুক দাবি করে। গত ডিসেম্বর মাসে তাকে না জানিয়ে ফরিদপুরে ৫ম বিয়ে করেন জুয়েল । বর্তমানে জুয়েল তার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
এসব ঘটনায় চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বামী জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরের দিন তাঁর ( জুয়েল) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তবে এখনও তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই নারীর মা শেফালী, বোন মৌমিতা, মামা মিজানুর রহমান ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান লক্ষ্মী চ্যাটার্জী উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান লক্ষ্মী চ্যাটার্জী বলেন, প্রতারক জুয়েলকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সংস্থার পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী ওই নারীকে সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।
কড়চা/ বি সি