মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় কর্ণেল এম এ মালেকের স্মরণ সভা

কড়চা ফাইল ছবি

কড়চা রিপোর্টঃ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়াপাড়ায় নিজ বাড়িতে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের প্রয়াত পিতা কর্নেল এম এ মালেকের ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সামাজিক দূরত্ব মেনে স্মরণ সভায় মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রমজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি লিয়াকত আলী, মানিকগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন প্রমুখ।

সভায় মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন স্বাস্থ্য খাত নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, কভিটের সময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা সরকার দিয়ে থাকে ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো দিয়ে থাকে। এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান ভাল কাজ করছে। এই করোনা দুযোর্গের সময় মানুষের সাথে যারা প্রতারণা করে মানুষের আস্থা ভঙ্গ করে, মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাদের সরকার মাফ করবে না। যে দুইটি প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করেছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারা যে অন্যায় করেছে তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে। কোন দুর্নীতিবাজকে সরকার ক্ষমা করবেন না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, করোনা ভাইরাস একটি নতুন দুর্যাগ। এসম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা ছিল না। করোনাকালীন সময় দেশে ৭৫ টি ল্যাব নির্মিত হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য সেবা অন্য যে কোন দেশের চেয়ে ভালো। আপনারা দেখেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভাল কাজ করছে, তার পরেও কিছু ব্যক্তি সমালোচনা করছেন। তাদের কাজ হলো ভালো কাজকেও সমালোচনা করা। এসব সমালোচনাকে ভয় পাওয়ার কারণ নেই।

প্রসংগত, কর্ণেল (অবঃ) এম. এ মালেক ২০০০ সালের ১৬ জুলাই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। বিশিষ্ট সমাজসেবক কর্ণেল (অবঃ) এম. এ মালেক, পি.এস.সি, মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৩৫ সালের পহেলা মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৫৯ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত হন। সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ১৯৭৫ সালে ব্যবসায়ে আত্মনিয়োগ করেন। মানিকগঞ্জ-সাটুরিয়া নির্বাচনী এলাকা হতে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৬ সন থেকে ১৯৮৯ সন পর্যন্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে বস্ত্রমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রী পরিষদে যোগদান করেন। বিশাল মনের অধিকারী এ মহান ব্যক্তিত্বকে বলা হয় মানিকগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার, যিনি মানিকগঞ্জের উন্নয়নে এবং গরীব, দুঃখী, অসহায়, দুঃস্থ মানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন।

Facebook Comments Box
ভাগ