মানিকগঞ্জে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

কড়চা রিপোর্ট : সারাদেশে জেলা পর্যায়ে আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেছেন, বাংলাদেশে আর্থিক সঙ্গতি বেড়েছে এবং দেশ ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের অন্যান্য অঙ্গনের মধ্যে জুডিসিয়াল রাষ্ট্রের প্রধান অঙ্গন। গতিশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জুডিসিয়ালীকে এগিয়ে নেওয়া। জুডিসিয়ালীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। তার মধ্যে একটা হলো ন্যায়কুঞ্জ। ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন। দেশের ৬৪ জেলায় প্রতিটায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হবে, যাতে করে আগত বিচারপ্রার্থীরা সেখানে বসে বিশ্রাম করতে পারে। সেখানে আরও থাকবে নারী পুরুষের জন্য আলাদা টয়লেট এবং এক কর্নারে থাকবে ফাস্টফুডের দোকান।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেছেন, সারাদেশে প্রায় ৪০ লক্ষ মামলা পেন্ডিং আছে। একারণে বাদী-বিবাদী মিলে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষকে আদালত প্রাঙ্গনে আসতে হয়। এমনও দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে পুরুষদের সাথে মহিলারাও আসেন। তারা যাতে স্বস্তিতে বসতে পারে, পানি খেতে পারে, টয়লেট করতে পারে সে ব্যবস্থা নেই। অথচ বিচারক ও আইনজীবীদের বসার জায়গা আছে। আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের বসার জায়গা নেই। মূলত আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হবে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, করোনার কারণে আমাদের মামলা নিষ্পত্তির কাজ অনেকটাই ধীরে চলছিল। তবে গত বছর মামলা নিষ্পত্তির হার অনেকটাই বেড়ে যায়। আমরা যদি মামলা নিষ্পত্তির হার ১২৫ থেকে ১৩০ ভাগ করতে পারি তাহলে আগামী ৫/৬ বছরে মামলার জট সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। এতে করে বিচারপ্রার্থীরা অনেকটাই সুফল পাবেন।

এসময় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ রইস উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ গোলাম রব্বানী, হাইকোর্টের আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মোঃ মশিউর রহমান, মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উৎপল ভট্টাচার্য্যসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ন্যায় কুঞ্জের ভিত্তি প্রস্তর শেষে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আদালত প্রাঙ্গণে একটি বকুল গাছের চারা রোপন করেন।

এছাড়া বিকেলে আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তা ও বিচারকদের নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

কড়চা/ এ এইচ

 

 

Facebook Comments Box
ভাগ