বিশেষ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জ শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে নির্মিতব্য ড্রেনটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল এ বছরের মে মাসে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের তিন মাস পার হয়ে গেলেও ড্রেনের অর্ধেক কাজ হয়নি। আধখামচা ড্রেনটি এখন মহা দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। উল্টো কাজ শেষ করার জন্য আরও সাত মাসের সময় বাড়িয়ে নিয়েছে ঠিকাদার। কিন্তু কাজের যে গতি তাতে এই সময়েও শেষ হবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বেওথা পর্যন্ত জেলা শহরের প্রধান সড়কের পাশে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ড্রেনটি নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। গত বছরের মে মাসে কার্যাদেশ দেয়া হয় এবং কাজ শেষ করার কথা ছিল এ বছরের মে মাসে।
ড্রেনটি নির্মাণ করা হচ্ছে শহরের প্রধান সড়কের পাশে। এই সড়কে রয়েছে বড় বড় বিপনি বিতানসহ অসংখ্য দোকানপাট, জেলা হাসপাতাল, বেশ কয়েকটি ক্লিনিক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে এই সড়কে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও ড্রেনের দুই পাশে ওয়াল নির্মাণ হলেও উপরে স্ল্যাব বসানো হয়নি। বাঁশের মাঁচা পেতে ঝুঁকি নিয়ে লোকজন পারাপার হচ্ছে। বেশ কিছু স্থানে ড্রেনের জন্য মাটি কেটে গর্ত করা হয়েছে। ফলে পাশের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তাদের ব্যবসা লাটে উঠেছে। অর্ধসমাপ্ত ড্রেনের কারণে রাস্তা সংকুচিত হয়ে প্রতিদিন হচ্ছে যানজট। ড্রেনের গর্তে পড়ে প্রতিদিনই হচ্ছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। গর্তের পানিতে সৃষ্টি হয়েছে মশার স্থায়ী আবাস।
ভুক্তভোগী দোকান ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, ড্রেনের কারণে গত এক বছর ধরে আমাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যেভাবে কাজ খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে কবে নাগাদ শেষ হবে আর আমারা মুক্তি পাব তা অনিশ্চিত।
তারা সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে গাফিলতীর অভিযোগ করেন।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. মাসুদ রানা বলেন, পানির পাম্প, গ্যাসের পাইপ, বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে দেরি হওয়া ও করোনাকালীন সময়ের জন্য কাজে কিছুটা ব্যাহত হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাউসুল হাসান মারুফ কাজের সময় বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নানা প্রতিবন্ধকতা থাকায় ড্রেন নির্মাণে সময় একটু বেশি লাগছে। তবে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে।
কড়চা/ এস এস