সিংগাইরে বাবুল হত্যার রহস্য উন্মোচন , আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি

বামে বাবুলের লাশ, ডানে অভিযুক্ত ঘাতক খোরশেদ আলম

মাসুম বাদশাহঃ মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চাড়াভাঙ্গা এলাকার সাহনাইল চকে অজ্ঞাত পরিচয়ের উদ্ধারকৃত ব্যক্তির পরিচয়সহ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন হয়েছে। থানা পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামি গত শুক্রবার (৩১ জুলাই ) দুপুরে আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সূত্রে জানা যায়, খুন হওয়া ব্যক্তির নাম বাবুল হোসেন (৪২)। সে ঢাকা জেলার পার্শ্ববর্তী ধামরাই উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মৃত সয়নালের পুত্র ও ২ সন্তানের জনক। পেশায় ব্যাটারী চালিত ভ্যান চালক। গত ৭ জুলাই সে নিজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। তার এক দিন পর সিংগাইর উপজেলার সাহনাইল চকের বদর উদ্দিনের পাট ক্ষেত থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন থানায় অপমুত্যু মামলা নিয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। নিহতের পরিবার মর্গে গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন। গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বাবুলের বড় ছেলে আল-আমিন সিংগাইর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে নিহতের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ওই দিন বিকেলে ধামারাই উপজেলার কালামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে হত্যার সাথে জড়িত মোঃ খোরশেদ আলম খুশীকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয় । সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে নিহতের ভ্যান গাড়ি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত খোরশেদ আলম খুশী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ডাউটিয়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর পুত্র। সে ধামরাইয়ের কালামপুর এলাকায় বাসা ভাড়ায় থাকতেন।

এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ভ্যান চালক বাবুলকে মোবাইল ফোনে ডেকে আনে। তারপর সিংগাইর এলাকায় নিয়ে এসে কোমল পানীয় সেভেনআপের সাথে ৮ টি ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করে তার ভ্যানগাড়ি ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় খোরশেদ আলম খুশী। মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম রওশন জাহানের আদালতে গ্রেপ্তারকৃত আসামি বাবুল হোসেন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

কড়চা/ এম বি

Facebook Comments Box
ভাগ