অনুষঙ্গ : রথযাত্রা
মধুসূদন সাহা
রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম,
ভক্তেরা লুটায়ে পথে, করিছে প্রনাম,
প্রভাবে, ‘আমি দেব’, রথ ভাবে, ‘আমি’
মূর্তি ভাবে , ‘আমি দেব’ হাসে অন্তর্যামী।
ভারত উপমহাদেশে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত বাঙালি মননে ও আজকে হিন্দু বৌদ্ধদের সংস্কৃতি ও ধর্ম বিশ্বাসে রথযাত্রা এক বিশাল জায়গা জুড়ে আছে। উৎসব পালনের আঙ্গিকে আধূনিকতার স্পর্শ পেলেও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও অনুভূতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।
হিন্দু মননের কাছে আমার প্রশ্ন, খুব নগন্য সংখ্যক মানুষ ছাড়া , ব্রাহ্মন্যবাদ ও জাত পাতের দোহাই দিয়ে আমরা ধর্মগ্রন্থ দূরস্থান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সঠিক কারণ পর্যন্ত জানিনা। যদিও পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সম্বৃদ্ধ ধর্ম হচ্ছে এই সনাতন ধর্ম। এই তালিকায় আপনি/আমি, শিক্ষিত/ অশিক্ষিত, ধনী/গরীব সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তারা জানেন, তাদেরও গণ মানুষকে জানানোয় কার্পন্য। এক্ষেত্রে আত্মউন্নয়নই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ।
আমি সবজান্তা না। কোন মানুষই না। আমার আস্থা জেনে জানানোর। যে ব্যখ্যা আগেও দিয়েছি। আগামী দু তিনটে পর্বে রথযাত্রার পূর্বাপর বিষয় সাধারনণর জন্য জেনে জানাতে চাই। আমার ব্যাকআপে দুই একজন জানাশোনা মানুষ রয়েছেন। আমার অপারগতায় তারা আপনাদের জানার আগ্রহ মেটাতে পারবেন।
আর আপনাদের রথ দেখা ও কলা বেচা এক সাথেই হবে। জানেন নিশ্চয়ই প্রবাদের ব্যখ্যা। রথে ফল মিষ্টি নিবেদনের নিয়ম ছিল। অভাবে চিনি কলা (চিনি কলা পাতায় বিশেষ ভাবে মোড়ানো)।
রথে নিবেদনের জন্য প্রচুর চাহিদা ছিল এর। ব্যবসায়ী ছাড়াও অনেকেই সাময়িক আয়ের জন্য রথে এগুলো বিক্রি করে দুপয়সা কামিয়ে মেলার কেনাকাটা করে বাডড়ি চলে যেত। একেই বলে রথদেখা আর কলা বেচা।।
কড়চা/ এম এস
Facebook Comments Box